হজের ফরজ কয়টি

হজের ফরজ কয়টি

হজের ফরজ কয়টি

আরবি শব্দ হজ এর বাংলা অর্থ হচ্ছে নিয়্যত করা, দেখা বা দর্শন করা, সংকল্প বা ইচ্ছা করা, রওনা বা গমন করা, প্রতিজ্ঞ হওয়া ইত্যাদি। হজের ফরজ কয়টি তা নিচে দেওয়া হলো।

ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায় হজ হলো নির্দিষ্ট কোনো দিনের নিয়ত করে ইহরাম অবস্থায় আল আরাফার ময়দানে অবস্থান করে পবিত্র বায়তুল্লাহ শরীফ তওয়াফ করাকে বুঝায়।

হজ কাকে বলে

হজ কাকে বলেঃ পবিত্র জিলহজ্বের ৯ তারিখে ইহরাম বাধা অবস্থায় আরাফাতের ময়দানের কিছু স্থানে নির্ধারিতভাবে কয়েকটি আমল সুন্দরভাবে আদায় করে কাবা শরীফ তওয়াফ করাকেই হজ বলা হয়।

হজ কত প্রকার

হজ কত প্রকার তাহলো হজ মূলত তিন প্রকার। যথাঃ তামাত্তু, ইফরাদ, কিরাণ। তন্মধ্যে সর্বোত্তম হজ হচ্ছে হজে কিরান, তারপর তামাত্তু, তারপর ইফরাদ। তবে ইবাদতের আরাম থেকে প্রথমে তামাত্তু, তারপর ইফরাদ, তারপর কিরাণ। 

তামাত্তু হজ করা সবচেয়ে সহজ, তাই বেশিরভাগ বাংলাদেশি তামাত্তু হজ করেন। আর যারা অন্যের পক্ষ থেকে হজে যান বা মিকাত হ্জ্ব করতে যান, তারা সাধারণত হজে ইফরাদ করেন। এর বাইরেও কিছু তীর্থযাত্রী রয়েছে যারা কিরাণ হজ করে থাকেন যার সংখ্যা খুবই কম।

হজ্জ ফরজ হওয়ার শর্ত কয়টি

শরিয়াহ্ আইনে কিছু শর্ত আরোপ করে থাকে যার দ্বারা মুসলিমদের জন্য হজ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যে ব্যক্তি নিম্নোক্ত শর্ত পূরণ করেন তারা যথাসময়ে হজ করতে বাধ্য থাকবে শরীয়তের বিধানমতে।

১. মুসলিম হতে হবে

২. স্বাধীন হতে হবে

৩. পরিপক্ক বয়সী এবং জ্ঞানী হওয়া

৪. সুস্থ ব্যক্তি হতে হবে

৫. চোখে ভালো দেখেন এমন ব্যক্তি

৬. হজ্জের রাস্তা নিরাপদ করা

৭. একজন মহিলার সাথে একজন স্বামী বা অন্য মাহরুম মুসলিম পুরুষ থাকবে।

৮. পরিবারের খরচ ব্যতীত হজের যাবতীয় খরচ বহন করতে সক্ষম হতে হবে।

যদি কেউ হজে অবহেলা করে এবং শর্ত থাকা সত্ত্বেও হজ না করেই মারা যায়, রাসূল (সাঃ) তাকে কঠোর শাস্তির কথা বলে দিয়ে বলেনঃ "যার আল্লাহর ঘর তথা মক্কায় যাতায়াতের সমর্থ থাকবে" কিন্তু তিনি হজ করেননি, তিনি একজন ইহুদি বা খ্রিস্টান হিসাবে মারা গেছেন তাতে কিছু যায় আসে যায় না। (তিরমিজি শরীফ-৮১২)

হজের ফরজ কয়টি

মূলত একজন ‍মুসলিমের উপর কিছু শর্ত পূরণ হলেই কেবল সে ব্যক্তির উপর হজ ফরজ হয়। তাই আমাদের হজের ফরজ কয়টি তা জানা প্রয়োজন। হজ্জের ফরজ কাজ মোট তিনটি যথাঃ

১. ইহরাম বাধতে হবে।

২. আরাফাতের ময়দানে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অবস্থান করতে হবে।

৩. কাবা শরীফ তাওয়াফ করতে হবে।

হজের ওয়াজিব কয়টি

কিছু কাজ আছে যেগুলো হজের ওয়াজিব হিসেবে বিবেচিত হয় যেমন, ইহরাম বাধা, আরাফায় অবস্থান কংকর নিক্ষেপ, পশু কোরবানী ইত্যাদি। হজের ওয়াজিব কাজগুলো নিম্নরুপঃ

১. মিকাত হতে ইহরাম বাধা

২. সূর্য ডোবার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত আরাফাতের ময়দানে থাকতে হবে।

৩. আরাফাতের মাঠে থাকতে হবে।

৪.  পবিত্র মিনাতে ১১, ১২, ও ১৩ই জিলহজের রাতে অবস্থান করা।

৫. জামারাই শয়তানের উদ্দেশ্যে কঙ্কর নিক্ষেপ করা।

৬. মাথার চুল ছোট করা বা মুন্ডন করা।

৭. পশু কুরবানি করা।

৮. কাবা শরীফে শেষ চক্কর বা বিদায়ী চক্কর দেওয়া ইত্যাদি।

পোস্ট ট্যাগঃ

হজের ফরজ কয়টি
ওমরা হজের ফরজ কয়টি
হজের ফরজ ও ওয়াজিব কয়টি
হজের ফরজ ওয়াজিব কয়টি
হজের ফরজ কয়টি ও কি কি
হজের ফরজ কয়টি কি কি
হজের ফরজ কয়টি ও কী কী
হজ্জের ফরজ কয়টি ও কী কী
ইজহারের হরফ
হজের রুকন কয়টি
হজের ফরজ কয়টি এবং কি কি
হজের ফরজ কোনটি
হজের ফরজ

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url