জান্নাতুল ফেরদৌস নামের অর্থ কি

জান্নাতুল ফেরদৌস নামের অর্থ কি

জান্নাতুল ফেরদৌস নামের অর্থ কি

জান্নাতুল ফেরদাউস নামের অর্থ হলো "সর্বশ্রেষ্ঠ জান্নাত অথবা সৌন্দর্যময় জান্নাত, সর্ব উৎকৃষ্ট জান্নাত বা জন্নাতের বাগান, বিউটিফুল জান্নাত ইত্যাদি। আমরাতো জানলাম জান্নাতুল ফেরদাউস নামের অর্থ এবার জানবো জান্নাতের নেয়ামত সম্পর্কে বিস্তারিত।

জান্নাত নামের অর্থ কি জান্নাত সম্পর্কে হাদীসের উদ্ধৃতি

১. জান্নাতে রোগ, বার্ধক্য, মৃত্যু হবে না। (মুসলিম)

২. যদি কোনো জান্নাতী তার অলঙ্কার সহ একবার পৃথিবীর দিকে উঁকি দেয় তাহলে সূর্যের আলোকে এমনভাবে আড়াল করে দিবে যেমন সূর্যের আলো তারকার আলোকে আড়াল করে দেয়। (তিরমিযী)

৩. যদি জান্নাতের হুরেরা পৃথিবীর দিকে একবার উঁকি দেয় তাহলে পূর্ব- পশ্চিমের মাঝে যাকিছু আছে তা আলোকিত হয়ে যাবে। আর সমস্ত পৃথিবীকে সুগন্ধিময় করে দিবে। (বুখারী)

৪. জান্নাতের বালাখানাসমূহ সোনা ও চাঁদির ইট দিয়ে নির্মিত। সিমেন্ট, বালি মেশক আম্বারের সুগন্ধি যুক্ত। তার পাথরসমূহ হবে মতি ও ইয়াকুতের, আর তার মাটি হবে জাফরানের। (তিরমিযী)

৫. জান্নাতে শত স্তর আছে আর প্রত্যেক স্তরের মাঝে আকাশ ও যমীন সম দূরত্ব। (তিরমিযী)

৬. জান্নাতের ফলসমূহের একটি গুচ্ছ আকাশ ও জমীনের সমস্ত সৃষ্টিজীব খেলেও শেষ হবে না। (আহমদ)

৭. জান্নাতের একটি বৃক্ষের ছায়া এত লম্বা হবে যে, তার ছায়ায় এক অশ্বারোহী শত বছর পর্যন্ত চলেও তার শেষ প্রান্তে পৌঁছতে পারবে না। (বুখারী)

৮. জান্নাতে ধনুক সমানস্থান সমস্ত পৃথিবী এবং পৃথিবীর সমস্ত নিআমত থেকেও মূল্যবান। (বুখারী)

৯. হাউজে কাওসার সোনা-চাঁদির পেয়ালা থাকবে যার সংখ্যা আকাশের তারকা সম হবে। (মুসলিম)

জান্নাত, জাহান্নাম এবং যুক্তির পূজা

দ্বীনের মূল ভিত্তি ওহীর জ্ঞানের ওপর। তাই ওহীর জ্ঞানের অনুসরণ সর্বদাই মানুষের জন্য মুক্তি ও পরিত্রাণের মাধ্যম। ওহীর জ্ঞানের মোকাবেলায় যুক্তির পূঁজা করা সর্বদাই পথভ্রষ্টতা ও ক্ষতিগ্রস্ততার মাধ্যম। আম্বিয়া কেরামের দাওয়াতে সাড়া দিয়ে যারা ওহীর নির্দেশাবলী মোতাবেক গায়েবের প্রতি ঈমান এনেছে এবং মৃত্যু ও পরকাল অর্থাৎ: হাশর, হিসাব, কিতাব, জান্নাত, জাহান্নাম, ইত্যাদি প্রতি ঈমান এনেছে, সে সফলকাম হয়েছে।

আল্লাহ কাফিরদের যুক্তির কথা পেশ করেছেন

পক্ষান্তরে যারা এ নির্দেশাবলীকে মুক্তির আলোকে যাঁচাই করেছে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কুরআন মাজীদের বিভিন্ন স্থানে আল্লাহ কাফিরদের যুক্তির কথা পেশ করেছেন যে, তারা বলে মৃত্যুর পর জীবিত হওয়া অসম্ভব। তাই কাফিররা নবীগণকে শুধু মিথ্যা প্রতিপন্নই করেনি বরং তাদেরকে ঠাট্টা-বিদ্রূপও করেছে। এ সম্পর্কে কুরআন মাজীদের কিছু উদ্ধৃতি:

অর্থ: কাফিররা বলে: আমরা কি তোমাদেরকে এমন ব্যক্তির সন্ধান দিব যে, তোমাদেরকে বলে: তোমাদের দেহ সম্পূর্ণ ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়লেও তোমরা নতুন সৃষ্টিরূপে উত্থিত হবে। সে কি আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যা উদ্ভাবন করে, অথবা সে কি উম্মাদ? বস্তুত যারা আখেরাতে বিশ্বাস করে না তারা আযাবে ও ঘোর ভ্রান্তিতে রয়েছে।” (সূরা সাবা: ৭-৮)

আল্লাহর পক্ষ থেকে ওহীকৃত শিক্ষা

আল্লাহর পক্ষ থেকে ওহীকৃত শিক্ষাকে, যুক্তির আলোকে যাঁচাইকারী পণ্ডিত বর্গ সর্বকালেই যথেষ্ট পরিমাণে ছিল, কিন্তু অতীতকালে যারা ওহীর শিক্ষাকে মিথ্যায় প্রতিপন্ন করতো তারা মুসলমান হতো না। কিন্তু বর্তমান কালে যারা ওহীর শিক্ষাকে যুক্তির আলোকে যাচাই করে ওহীর শিক্ষাকে মিথ্যা পতিপন্ন করে, তারা ঐ সমস্ত লোক যারা প্রকাশ্যে ইসলাম গ্রহণ করেছে এবং মুসলমান বলে দাবী করে।

হিজরী দ্বিতীয় শতাব্দীর শুরুতে

হিজরী দ্বিতীয় শতাব্দীর শুরুতে জাহাম বিন সাফওয়ান গ্রীস দর্শনে প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে, আল্লাহর সত্তা, তাঁর গুণাবলী এবং ভাগ্য সম্পর্কে ওহীর শিক্ষাকে পরিবর্তন করে আরো অনেক লোককে সে তার সাথে পথভ্রষ্ট করেছে, যা পরবর্তীতে জাহমিয়া সম্প্রদায় নামে আখ্যায়িত হয়েছে,

এমনিভাবে মোতাযিলা সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা ওয়াসেল বিন আতাও ওহীর জ্ঞান বাদ দিয়ে যুক্তিকে মানদণ্ড করে পথভ্রষ্ট হয়েছে এবং বহু লোককে পথভ্রষ্ট করেছে, যাদেরকে মোতাযিলা ফেরকা বলা হয়।' হিযর, চতুর্থ শতাব্দীর মাঝামাঝি ওহীর শিক্ষার বিরুদ্ধে যুক্তির পূজারী সূফীরা বাগদাদে এক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করলো যার নামকরণ করা হয়েছিলো,

ইখওয়ানুসসফা’ যাদের নিকট সমস্ত ধর্মীয়

‘ইখওয়ানুসসফা’ যাদের নিকট সমস্ত ধর্মীয় পরিভাষাসমূহ নবুওয়াত, রিসালাত, উল্লেখ্য, জাহমিয়া এবং মো’তাযিলা উভয়ে আল্লাহর গুণাবলী যার বর্ণনা কুরআনে স্পষ্ট ভাবে এসেছে, যেমন, আল্লাহর হাত, পা, চেহারা, পায়ের গোছা ইত্যাদিকে অস্বীকার করেছে, এমনিভাবে সমস্ত আয়াত ও হাদীসের অপব্যাখ্যা করেছে, আর তাকদীরের ব্যাপারে জাহমিয়াদের আকীদা হল মানুষ বাধ্য।

মানুষকে আমল করার কথা বলা হয়েছে

আর সমস্ত হাদীস ও আয়াত যেখানে মানুষকে আমল করার কথা বলা হয়েছে, তারা তার বিভিন্নভাবে অপব্যখ্যা করেছে, মোতাযিলারা তাকদীরের ব্যাপারে মানুষ স্বইচ্ছাধীন বলে বিশ্বাস করে।)

মালাইকা, সালাত, যাকাত, সিয়াম, হজ্জ, আখেরাত, জান্নাত, জাহান্নাম

মালাইকা, সালাত, যাকাত, সিয়াম, হজ্জ, আখেরাত, জান্নাত, জাহান্নাম, ইত্যাদির দু'টি করে অর্থ। একটি জাহেরী অপরটি বাতেনী। জাহেরী অর্থ এটি যা ইসলামী শরীয়তে আল্লাহর পক্ষ থেকে নাযিলকৃত ওহী মোতাবেক। আর বাতেনী ঐটি যা সূফীদের নিজস্ব যুক্তি প্রসূত।

সূফীদের নিকট জাহেরী অর্থের ওপর আমলকারী

সূফীদের নিকট জাহেরী অর্থের ওপর আমলকারী মুসলমানরা জাহেলদের অন্তর্ভুক্ত, আর বাতেনী অর্থের ওপর আমলকারী মুসলমান জ্ঞানীদের অন্তর্ভুক্ত। ওহীর শিক্ষাকে পরিবর্তনকারী বাতেনী সংগঠনের এ ফিতনা আজও পৃথিবীর সকল দেশে কোনোনা কোনো সূরাতে আছেই।

স্যার সায়্যেদ আহমদ খানের উদাহরণ

নিকট অতীতের স্যার সায়্যেদ আহমদ খানের উদাহরণ আমাদের সামনে আছে যে, ১৮৬৮- ১৮৭০ ইং পর্যন্ত ইংলিস্থানে থেকে ফিরে এসে প্রাচ্যের সাইন্স, উন্নতি, টেকনোলজী, দেখে এতটা প্রতিক্রিয়াশীল হয়েছিল যে, আলীগড়ে এম. এ, ও, কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছিল, আর এর লক্ষ্য উদ্দেশ্যের মধ্যে এ কথা লিখা ছিল যে, দর্শন আমাদের ডান হাত, নেচারাল সাইন্স আমাদের বাম হাত,

লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ

আর লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ তাজ, যা আমাদের মাথায় থাকবে। কলেজের উদ্বোধন করিয়েছিল লর্ড লিটনের মাধ্যমে। আর কলেজের সংবিধানে একথা লিখা ছিল যে, এ কলেজের প্রিন্সিপাল সর্বদা কোনো ইউরোপীয়ান হবে। প্রাচ্যের সাইন্স ও টেকনোলজীতে প্রতিক্রিয়াশীল সাইয়্যেদ সাহেব যখন কুরআন মাজীদের তাফসীর লিখা শুরু করলেন, তখন তিনি নবীগণের মোজেজাসমূহকে যুক্তির আলোকে যাচাই করতে লাগলেন এবং সমস্ত মোজেজা সমূহকে এক এক করে অস্বীকার করতে লাগলেন।

ফেরেশতাদেরকে অস্বীকার করতে লাগল

স্ব-শরীরে উপস্থিত না থাকা ফেরেশতাদেরকে অস্বীকার করতে লাগল। জান্নাত, কবরের আযাব, কিয়ামতের আলামত, যেমন: দাব্বাতুল আরয (মাটি ফেটে প্রাণীর আগমন) ঈসা (আ) এর আগমন, সূর্য পূর্বদিক থেকে উঠা, ইত্যাদি অস্বীকার করতে লাগলো। জান্নাত, জাহান্নামের অস্তীত্ব অস্বীকার করলো।

যুক্তির পূজারীদের এমন একদল রেখে গেছে

আর ওহীর শিক্ষা থেকে দূরে সরে শুধু সে নিজেই পথভ্ৰষ্ট হয় নি বরং তার পিছনে যুক্তির পূজারীদের এমন একদল রেখে গেছে, যারা সর্বদাই উম্মতকে নাস্তিকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে দেয়ার গুরু দায়িত্ব পালন করছে। আমাদের একথা স্বীকার করতে কোনো দিধা নেই যে, পৃথিবীতে জান্নাত ও জাহান্নামের বাস্তব অবস্থা সম্পর্কে সবিস্তারিত বুঝা আসলেই অসম্ভব। কিন্তু প্রশ্ন হলো যে, কোনো জিনিষ যুক্তিতে না ধরাই কি তা অস্বীকার করার জন্য যথেষ্ঠ? আসুন বিজ্ঞান ও যুক্তির আলোকেই এ প্রশ্নের উত্তর খোঁজা যাক।

জান্নাতের নেয়ামত

সর্বশেষ বিজ্ঞানের আবিস্কার অনুযায়ী:

১. আমাদের পৃথিবী সর্বদা ঘুরছে, একভাবে নয় বরং দু'ভাবে। প্রথমত নিজের চতুপার্শ্বে দ্বিতীয়ত, সূর্যের চতুর্পার্শ্বে।

২. সূর্য স্থির যা শুধু তার চতুপার্শ্বে ঘুরছে।

৩. আমাদের সৌর জগৎ থেকে ৪শ কোটি কি.মি. দূরত্বে আরো একটি সূর্য আছে, যা আমাদের নিকট ছোট একটি আলোকরশ্মি বলে মনে হয়। তার নাম আলফাদেনতুরস (Alfagentaurisa)।

৪. আমাদের সৌর জগৎ এর বাহিরে অন্য একটি তারকার নাম কালব আকরাব (Atntares) তার ব্যাস ২৮ কোটি ৩০ লক্ষ মাইল প্ৰায়।

পৃথিবী আমাদের চতুর্পার্শ্বে ঘুরছে

চিন্তা করুন বাস্তবেই কি আমাদের অনুভূতি হচ্ছে যে, পৃথিবী আমাদের চতুর্পার্শ্বে ঘুরছে? বাহ্যত পৃথিবী পরিপূর্ণভাবে স্থির আছে, আর তার সামান্য কম্পন পৃথিবী বাসীকে তছনছ করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। অথচ বলা হচ্ছে যে পৃথিবী দু'ভাবে ঘুরে বলে বিশ্বাস কর? বাস্তবেই কি সূর্য আমাদের নিটক স্থির বলে মনে হয়? প্রত্যেক মানুষ স্ব চোখে প্রত্যক্ষ করছে যে, সূর্য পূর্ব দিক থেকে উদিত হয়ে আস্তে আস্তে চলতে চলতে পশ্চিমে গিয়ে অস্ত যাচ্ছে।

বাস্তবেই কি সূর্য পৃথিবীর তুলনায় লক্ষ ৩৭ হাজার গুণ বড়

বাস্তবেই কি সূর্য পৃথিবীর তুলনায় ৩ লক্ষ ৩৭ হাজার গুণ বড় বলে মনে হয় ৷ বরং প্রত্যেক ব্যক্তিই দেখতে পায় যে, সূর্য নয় বা দশ মিটারের একটি আলোকরশ্মি। মানবিক জ্ঞান কি একথা বিশ্বাস করে যে, আমাদের এ সৌর জগৎ এর বাহিরে, কোটি কি. মি. দূরে আরো একটি সূর্য আছে, যা আমাদের এ পৃথিবী ও সূর্যের তুলনায় লক্ষ গুণ বড়?

বিজ্ঞানীগণ তাদের গবেষণার মাধ্যমে এসমস্ত তথ্য দিয়ে থাকে

এ সমস্ত কথা শুধু বাস্তব দেখা বিরোধিই নয় বরং বিবেক সম্মতও নয়। কিন্তু এতদসত্ত্বেও আমরা তা শুধু এ জন্যই বিশ্বাস করি যে, বিজ্ঞানীগণ তাদের গবেষণার মাধ্যমে এসমস্ত তথ্য দিয়ে থাকে। এর পরিষ্কার ও স্পষ্ট ব্যাখ্যা ছিল এই যে, কোনো জিনিষ বিবেক সম্মত না হওয়ায় তা অস্বীকার করা সম্পূর্ণ ভুল।

জান্নাত জাহান্নামের অস্তিত্ব এবং তার বিস্তারিত অবস্থা

এমনিভাবে জান্নাত ও জাহান্নামের অস্তিত্ব এবং তার বিস্তারিত অবস্থা মানবিক জ্ঞান সম্মত না হওয়ায় তা অস্বীকার করা সম্পূর্ণই ভ্ৰান্তি, ভুল দর্শন, যা শুধু শয়তানী চক্রান্ত মাত্র। নিউটন ও আইনষ্টাইন এর সূত্র সমূহ যদি বুঝে না আসে তাহলে আমরা তখন শুধু আমাদের স্বল্প জ্ঞান এবং কমবুদ্ধির কথাই স্বীকার করিনা বরং উল্টা তাদের জ্ঞান বুদ্ধির প্রশংসায় পঞ্চমুখও হই।

আল্লাহ তাঁর রাসূলের কথার উপর আমাদের এতটুকু ঈমানও নেই

অথচ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের পক্ষ থেকে আসা বিষয়সমূহ যুক্তি সম্মত না হলে তখন শুধু তা অস্বীকারই করি না বরং উল্টা ঠাট্টা বিদ্রূপ ও করি। এর অর্থ এছাড়া আর কি হতে পারে যে, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের কথার উপর আমাদের এতটুকু ঈমানও নেই যতটা ঈমানআইনষ্টাইন ও নিউটনের গবেষণার ওপর আছে।

জান্নাত জাহান্নামের অস্তিত্ব

বাস্তবতা হলো এই যে, জান্নাত ও জাহান্নামের অস্তিত্ব এবং এ ব্যাপারে বর্ণিত গুণাবলি পরিপূর্ণ রূপে মানার একমাত্র দলীল হলো এই যে, গায়েবের প্রতি বিশ্বাস” যাকে আল্লাহ কুরআন মাজীদে মানুষের হিদায়াতের জন্য প্রথম শর্ত হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

আল্লাহর বাণী- অর্থ: “এটা ঐ গ্রন্থ যার মধ্যে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। মুত্তাকীদের জন্য এটা হিদায়াত। যারা গায়েবের প্রতি বিশ্বাস করে, নামায প্রতিষ্ঠা করে এবং আমি তাদেরকে যে উপজীবিকা প্রদান করেছি তা থেকে তারা দান করে থাকে। (সূরা বাকারা: ২-৩)

গায়েবের প্রতি যার ঈমান যত মজবুত হবে

এর স্পষ্ট অর্থ হলো এই যে, গায়েবের প্রতি যার ঈমান যত মজবুত হবে, জান্নাত ও জাহান্নামের প্রতি তার বিশ্বাসও ততো মজবুত হবে। আর গায়েবের প্রতি যার ঈমান যত দূর্বল হবে, জান্নাত ও জাহান্নামের প্রতি তার বিশ্বাসও ততো দূর্বল হবে।

জান্নাত জাহান্নামের অস্তিত্ব মেনে নিতে প্রস্তুত

অতএব যার বিবেক জান্নাত ও জাহান্নামের অস্তিত্ব মেনে নিতে প্রস্তুত নয় তার উচিত বিবেকের চিন্তা না করে ঈমানের চিন্তা করা। ঈমানদারগণের আমল অত্যন্ত স্পষ্ট। যাদের সম্পর্কে স্বয়ং আল্লাহ বলেছেন: অর্থ: “হে আমাদের প্রভু! নিশ্চয়ই আমরা এক আহ্বানকারীকে আহ্বান করতে শুনেছিলাম যে, তোমার স্বীয় প্রতিপালকের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করো, তাতেই আমরা বিশ্বাস স্থাপন করেছি। (সূরা আলে ইমরান: ৩:১৯৩)

পোস্ট ট্যাগঃ

জান্নাতুল ফেরদৌস নামের অর্থ কি
জান্নাতুল ফেরদাউস নামের অর্থ কি
জান্নাতুল ফেরদাউস
জান্নাতুল ফেরদৌস কেমন হবে
জান্নাতুল ফেরদৌস অর্থ কি
ফেরদৌস নামের অর্থ
ফেরদৌস নামের অর্থ কি
জান্নাতুল ফেরদৌস জারা
জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী
জান্নাতুল ফেরদৌস নামের অর্থ
জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করুন

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url