জান্নাতের হুরদের নাম

জান্নাতের হুরদের নাম

জান্নাতের হুরদের নাম

জান্নাতের হুরদের নাম আলকুরআন বা হাদীসে জান্নাতের হুরদের নাম জানা যায়না। তবে ইসলামী পন্ডিতগণ কিছু নাম উল্লেখ করে থাকেন যা সংক্ষিপ্ত আকারে দেওয়া হলো।

”আয়মান”

”রাহমা”

”শাকিরা”

”সেবিকা”

”সুহাসিনী”

এবার আমরা আজকের পোস্ট থেকে জানবো জান্নাতের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জান্নাতে কি পাবো আর কি পাবোনা তা সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরা হলো।

জান্নাতী রমণীগণ

নবী সালাহ বলেন: জান্নাতী রমণীগণ যদি ক্ষণিকের জন্যও পৃথিবীতে দৃষ্টিপাত করে তাহলে পূর্ব পশ্চিমের মাঝে যা কিছু আছে সব কিছুকে আলোকময় করে তুলবে এবং পূর্ব পশ্চিমের মাঝে যত খালী জায়গা আছে তা সুগন্ধিময় করে তুলবে। (বুখারী)

জান্নাতে কোনো ব্যক্তি একাকী থাকবে না

পারিবারিক জীবন: জান্নাতে কোনো ব্যক্তি একাকী থাকবে না প্রত্যেকেরই দু'জন করে স্ত্রী থাকবে, আর এ দু'স্ত্রী আদম সন্তানদের মধ্য থেকে হবে। (ইবনে কাসীর)

জান্নাত নামের অর্থ কি ও জান্নাতের পরিসীমা বা জীবন যাপন

আরবী ভাষায় জান্নাত বলা হয় বাগানকে। এর বহুবচন আসে (বাগানসমূহ) এ জান্নাতের পরিসীমা কতটুকু? তার যথাযথ পরিসীমা সুনির্দিষ্ট করে বলা শুধু কষ্টকরই নয় বরং অসম্ভবও বটে। কুরআন মাজীদে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন:

অর্থ: “কেউই জানে না তার জন্য নয়ন প্রীতিকর কি লুকায়িত রাখা হয়েছে, তাদের কৃতকর্মের পুরস্কার স্বরূপ।” (সূরা সাজদা: ১৭)

জান্নাত আল্লাহ প্রদত্ত এমন এক রাজ্য

কুরআন ও হাদীস চর্চা করার পর যাকিছু বুঝা যায় তার সারমর্ম হলো এই যে, জান্নাত আল্লাহ প্রদত্ত এমন এক রাজ্য হবে যা আমাদের এ পৃথিবীর তুলনায় কোনো অতিরঞ্জন ব্যতীতই বলা যেতে পারে যে, আমাদের দুনিয়ার তুলনায় অনেক বেশি লম্বা হবে।

জান্নাতের বিশাল আয়তন

জান্নাতের বিশাল আয়তনের কোনো ছোট একটি অংশই আমাদের পৃথিবীর সমান হবে। জান্নাতে সর্বশেষ প্রবেশকারী সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ বলেছেন যে, যখন আল্লাহর পক্ষ থেকে তাকে জান্নাতে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে, তখন সে আরয করবে হে আল্লাহ! এখন তো সব জায়গা পরিপূর্ণ হয়ে গেছে, আমার জন্য আর কি বাকী আছে?

জান্নাতে তোমার জন্য পৃথিবীর সর্ববৃহৎ রাজ্যের সমান

আল্লাহ বলবেন: যদি তোমাকে পৃথিবীর কোনো সর্ববৃহৎ বাদশার রাজত্বের সমান স্থান দেয়া হয় তাতে কি তুমি খুশী হবে? তখন বান্দা বলবে হ্যাঁ হে আল্লাহ! কেন হব না? আল্লাহ তখন বলবেন যাও জান্নাতে তোমার জন্য পৃথিবীর সর্ববৃহৎ রাজ্যের সমান এবং এর চেয়ে অধিক আরো দশগুণ স্থান দেয়া হলো। (মুসলিম)

জান্নাতে সর্বশেষ প্রবেশকারীকে

জান্নাতে সর্বশেষ প্রবেশকারীকে এতটুকু স্থান দেয়ার পরও জান্নাতে এতস্থান বাকী থেকে যাবে যে, তা পরিপূর্ণ করার জন্য আল্লাহ অন্য এক মাখলুক সৃষ্টি করবেন। (মুসলিম)

জান্নাতের স্তরসমূহের কথা বর্ণনা করতে গিয়ে রাসূলূল্লাহ আলা বলেন: তার শত স্তর আছে। আর প্রত্যেক স্তরের মাঝে আকাশ ও পৃথিবী সম দূরত্ব রয়েছে। (তিরমিযী)

জান্নাতের ছায়াবান বৃক্ষসমূহের কথা বর্ণনা

জান্নাতের ছায়াবান বৃক্ষসমূহের কথা বর্ণনা করতে গিয়ে রাসূলূল্লাহ পানাহার বলেন: যে, একটি বৃক্ষের ছায়া এত লম্বা হবে যে, কোনো অশ্বারোহী শত বছর পর্যন্ত তার ছায়ায় চলার পরও সে ছায়া শেষ হবে না। (বুখারী)

জান্নাতের সীমারেখা নির্ধারণ করা

উল্লিখিত আয়াত ও হাদীসের আলোকে এ অনুমান করা কষ্টকর নয় যে, জান্নাতের সীমারেখা নির্ধারণ করা তো দূরের কথা এমনকি ঐ সম্পর্কে চিন্তা করাও মানুষের জন্য সম্ভব নয়।

জান্নাতে মানুষ কি ধরণের জীবন যাপন করবে?

জান্নাতে মানুষ কি ধরণের জীবন যাপন করবে? জান্নাতীদের ব্যক্তিগত গুণাগুণ কি হবে? তাদের পারিবারিক জীবন কেমন হবে? তাদের খানা-পিনা, থাকা কেমন হবে, যদিও এ ব্যাপারেও সুনির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়, এরপরও কুরআন ও হাদীস থেকে যা স্পষ্টভাবে প্রমাণিত তার আলোকে জান্নাতী জিন্দেগীর কোনো কোনো অংশের বিস্তারিত বর্ণনা নিম্নরূপ:

জান্নাতে মানুষের বয়স কত হবে
জান্নাতের বর্ণনা

১. শারিরীকি গুণাগুণ: জান্নাতীদের চেহারা আলোকময় হবে। চক্ষুদ্বয় লাজুক হবে। মাথার চুল ব্যতীত শরীরের আর কোথাও কোনো চুল থাকবে না। এমন কি দাড়ী-গোফও থাকবে না। বয়স ৩০-৩৩ বছরের মাঝামাঝি হবে। উচ্চতা মোটামুটি ৯ ফিটের মত হবে।

জান্নাতবাসী সর্বপ্রকার নাপাকী থেকে পবিত্র থাকবে

জান্নাতবাসী সর্বপ্রকার নাপাকী থেকে পবিত্র থাকবে, এমন কি থুথু এবং নাকের পানিও আসবে না। ঘাম হবে কিন্তু তা মেশক আম্বরের ন্যায় সুঘ্রাণ যুক্ত থাকবে। জান্নাতবাসীগণ সর্বদা আরাম আয়েশ ও হাশি খুশি থাকবে। কারো কখনো চিন্তা, ব্যাথা, বিরক্ত ও ক্লান্ত বোধ থাকবে না।

জান্নাতবাসীগণ সর্বদা সুস্থ থাকবে

জান্নাতবাসীগণ সর্বদা সুস্থ থাকবে। তারা কখনো অশুস্থ, বৃদ্ধ, মৃত্যু হবে না । জান্নাতী মহিলাদের যে গুণাবলীর কথা কুরআনের বার বার এসেছে তা হলো এই যে, জান্নাতী রমণী অত্যন্ত লজ্জাশীল হবে,

জান্নাতের সুগন্ধির নাম

পৃথিবীর এ মহিলাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করানোর পূর্বে আল্লাহ তাদেরকে আরেকবার নতুন করে সৃষ্টি করবেন। আর তখন তাদেরকে ঐ সৌন্দৰ্য প্ৰদান করবেন যা জান্নাতে বিদ্যমান হুরদেরকে দেয়া হয়েছে। এ নারীদেরকে নতুন করে সৃষ্টি করার পর তাদেরকে কোনো জ্বিন ও ইনসান স্পর্শও করে নি। তারা তাদের স্বামীদের সম বয়সী ও লাজুক, পর্দাশীল, অত্যন্ত স্বামী ভক্ত হবে।

জান্নাতীরা তাদের সুযোগ মত স্বীয় স্ত্রীগণের সাথে

২. জান্নাতীরা তাদের সুযোগ মত স্বীয় স্ত্রীগণের সাথে ঘন শীতল ছায়ায় প্রবাহমান নদীর তীরে সোনা-চান্দী ও মুক্তার নির্মিত আসনসমূহে বসে আনন্দময় গল্পে মেতে উঠবে। খানা-পিনার জন্য মহিলাদের কষ্ট করতে হবে না।

জান্নাতে স্তরের দিক

একই খান্দানের নিকট আত্মীয়গণ যেমন: পিতা-মাতা, দাদা-দাদী, নানা-নানী, ছেলে-মেয়ে, নাতী-নাতনী, ইত্যাদি যদি জান্নাতে স্তরের দিক থেকে একে অপর থেকে দূরবর্তীতে থাকে তবে আল্লাহ স্বীয় অনুগ্রহে তাদেরকে পরস্পরের নিকটবর্তী করে দিবেন। (সুবহানাল্লাহী বিহামদিহি ওয়া সুবহানাল্লাহিল আযীম)

জান্নাত বাসীগণকে সর্বপ্রথম মাছের কলিজা

৩. খানা-পিনা: জান্নাতে প্রবেশ করার পর জান্নাত বাসীগণকে সর্বপ্রথম মাছের কলিজা দিয়ে আপ্যায়ন করানো হবে। এরপর গরুর গোশত দিয়ে আপ্যায়ন করানো হবে।

সালসাবীল নামক ঝর্ণার পানি

আর পানীয় হিসেবে প্রথমে দেয়া হবে, ‘সাল সাবীল' নামক ঝর্ণার পানি। যা আদার স্বাদ মিশ্রিত হবে। সর্বপ্রকার সু-স্বাদু ফল যেমন আঙ্গুর, আনার, খেজুর, কলা ইত্যাদির কথা বিশেষভাবে কুরআনে উল্লেখ রয়েছে, এরপরও আরো থাকবে সর্বপ্রকার সুস্বাদু ও সুগন্ধিময় পানীয় যেমন: দুধ, মধু, কাউসারের পানি, আদা বা কাফুরের স্বাদ মিশ্রিত পানি।

জান্নাতীদের সম্মানার্থে সোনা, চান্দী কাঁচের তৈরী পাত্র

বিশেষভাবে উল্লেখ্য হলো জান্নাতীদের সম্মানার্থে সোনা, চান্দী ও কাঁচের তৈরী পাত্রসমূহ সরবরাহ করা হবে। খানা- পিনার স্বাদ কখনো নষ্ট হবে না। বরং সর্বক্ষণই তরু-তাজা নতুন নতুন খানা- পিনা থেকে কোনো প্রকার গন্ধ, ঝাল, ঠাণ্ডা বা খারাপ নেশাদার হবে না।

জান্নাতী নিজে যদি কোনো গাছের ফল খেতে চায়

জান্নাতী নিজে যদি কোনো গাছের ফল খেতে চায় তাহলে স্বয়ং ঐ ফল তার হাতের নাগালে চলে আসবে। কোনো পাখীর গোশত খেতে চাইলে তখনই প্রস্তুত করে তার সামনে পেশ করা হবে। জান্নাতের এ সমস্ত নিয়ামত চিরস্থায়ী হবে। তাতে কখনো কোনো কমতি দেখা দিবে না। আর কখনো শেষও হবে না।

জান্নাতীকে কারো কাছ থেকে কোনো অনুমতি

না তা কোনো বিশেষ মৌসুমের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে। আরো বড় বিষয় হলো এই যে, এ নিয়ামত সমূহ পাওয়ার জন্য জান্নাতীকে কারো কাছ থেকে কোনো অনুমতি নিতে হবে না। যে জান্নাতী যখন চাইবে যে পরিমাণে চাইবে স্বাধীনভাবে সে তা হাসিল করতে পারবে।

আর আল্লাহর এ বাণীরও এ অর্থই: অর্থ: “জান্নাতের নিআমতের ধারাবাহিকতা কখনো ছিন্ন হবে না আর না তা নিষিদ্ধ হবে।” (সূরা ওয়াকিয়া: ৩৩)

জান্নাতে দম্পতির জন্য পৃথক প্রশস্ত রাজ্য থাকবে

৪. বসবাস: জান্নাতে প্রত্যেক দম্পতির জন্য পৃথক ও প্রশস্ত রাজ্য থাকবে যার ঘরসমূহ নির্মিত সোনা-চাঁন্দীর ইট এবং উন্নতমানের সুগন্ধি দিয়ে। ঘরের পাথরসমূহ হবে মুক্তা ও ইয়াকুতের, আর তার মাটি হবে জাফরানের (তিরমিযী)।

জান্নাতীকে তার স্তর অনুযায়ী

প্রত্যেক জান্নাতীকে তার স্তর অনুযায়ী দু'টি করে প্রশস্ত বাগান দান করা হবে। উভয় বাগান স্বর্ণ নির্মিত হবে, যার প্রতিটি জিনিস স্বর্ণের হবে। সমস্ত আবসাবপত্র স্বর্ণের হবে, গাছ-পালা স্বর্ণের হবে। আসনসমূহ স্বর্ণের হবে। প্লেটসমূহ স্বর্ণের হবে। এমনকি চিরুনীসমূহও স্বর্ণের হবে।

একটি খামার প্রশস্ত হবে ৬০ মাইল

সাধারণ নেক্কারগণকেও দু'টি প্রশস্ত বাগান প্রদান করা হবে। কিন্তু তাদের বাগান হবে চাঁন্দি নির্মিত। অর্থাৎ তার সব কিছু চাঁন্দির হবে। ঐ বাগানসমূহে সুউচ্চ বালাখানা সমূহ থাকবে। সেখানে সবুজ রেশমের কার্পেটে মূল্যবান আসনসমূহ থাকবে। প্রতিটি ঘর এত প্রশস্ত হবে যে, তার এক একটি খামার প্রশস্ত হবে ৬০ মাইল।

জান্নাতের নদীর নাম

জান্নাতের নদীসমূহের মধ্যে প্রত্যেক নদীর একটি ছোট শাখা প্রত্যেক ঘরে প্রবাহমান থাকবে। ঘরের বিভিন্ন স্থানে আঙ্গার ধানিকা থাকবে যার মধ্য থেকে চন্দনের যাদুময় সুঘ্রাণ এসে সমস্ত বাড়ীর ফাঁকা জায়গা সমূহকে সুগন্ধিময় করে দিবে। এ ধরনের ঘর, খীমা, নদী, ঘনছায়া, সম্পন্ন পরিবেশে জান্নাতীরা জীবন যাপন করবে।

জান্নাতীদেরকে বর্তমানর চেয়ে মূল্যবান রেশম দেয়া হবে

৫. পোশাক: জান্নাতীদেরকে বর্তমান রেশমের চেয়ে কয়েকগুণ মূল্যবান রেশম দেয়া হবে। যার ব্যবহার থেকে পৃথিবীতে তাদেরকে নিষেধ করা হয়েছিল। রেশম ব্যতীত আরো বিভিন্ন ধরনের মূল্যবান চাক-চিক্যমান পোশাক, যার মধ্যে সুন্দুস, ইস্তেবরাক, ইতলাস (বিভিন্ন প্রকার রেশমের নাম) উল্লেখ হয়েছে।

জান্নাতের স্বর্ণ পৃথিবীর স্বর্ণের চেয়ে বহুগুণ উন্নত

এ সুযোগও থাকবে যে, জান্নাতে মহিলারা ব্যতীত পুরুষরাও সোনা-চাঁন্দির অলঙ্কার ব্যবহার করবে। উল্লেখ্য যে, জান্নাতে ব্যবহৃত স্বর্ণ পৃথিবীর স্বর্ণের চেয়ে বহুগুণ উন্নত হবে। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন: যদি একজন জান্নাতী পুরুষ তার অলঙ্কারসমূহ সহ পৃথিবীতে উকি দেয় তাহলে তার অলঙ্কারের চমক সূর্যের আলোকে এমনভাবে ঢেকে দিবে যেমন সূর্যের আলো তারকার আলোকে ঢেকে দেয়। (তিরমিযী)

জান্নাতী মহিলাদেরকে সুন্দর, হালকা পোশাক পরানো হবে

সোনা-চাঁন্দি ব্যতীত আরো অন্যান্য প্রকার মুক্তা ও প্রবালের অলঙ্কারও জান্নাতীদেরকে পরানো হবে। জান্নাতী মহিলাদেরকে এত সুন্দর ও হালকা পোশাক পরানো হবে যে, কোনো কোনো সময় সতর আবরিত করে পোশাক পরিধান করা সত্ত্বেও তার পায়ের গোছার মজ্জা পর্যন্ত দেখা যাবে। (বুখারী)

জান্নাতের নেয়ামত

মহিলাদের সাধারণ পোশাকও এত মূল্যবান হবে যে মাথার উড়নাও পৃথিবী এবং পৃথিবীতে যা কিছু আছে তার চেয়েও মূল্যবান হবে। (বুখারী)

জান্নাতীদের পোশাক কখনো পুরান হবে না। কিন্তু তারা তাদের উচ্ছামত যখন খুশী তখন তা পরিবর্তন করতে পারবে। অর্থ: “এরই প্রতিশ্রুতি তোমাদেরকে দেয়া হয়েছিল, প্রত্যেক আল্লাহভীরু ও হেফাযত কারীর জন্য।” (সূরা ক্বাফ: ৩২)

জান্নাতে উল্লেখিত সমস্ত নিআমতের চেয়ে বড় নিয়ামত

আল্লাহর সন্তুষ্টি: জান্নাতে উল্লেখিত সমস্ত নিআমতের চেয়ে সবচেয়ে বড় নিয়ামত হবে, স্বীয় স্রষ্টা, মালিক, রিযিক দাতার সন্তুষ্টি। যার উল্লেখ কুরআন মাজীদের বহু জায়গায় করা হয়েছে, অর্থ: “যারা আল্লাহভীরু তাদের জন্য তাদের প্রতিপালকের নিকট জান্নাত রয়েছে, যার নিম্নে স্রোতম্বিনীসমূহ প্রবাহিত, তন্মধ্যে তারা সদা অবস্থান করবে এবং সেখানে পবিত্র সহধর্মিনীগণ এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি রয়েছে।” (সূরা আলে ইমরান: ১৫)

যার নিম্নদেশে বইতে থাকবে নহরসমূহ

আরো এরশাদ হয়েছে: অর্থ: “আল্লাহ মু'মিন পুরুষ ও মু'মিন নারীদেরকে এমন উদ্যানসমূহের ওয়াদা দিয়েছেন যার নিম্নদেশে বইতে থাকবে নহরসমূহ। যে (উদ্যান) গুলোর মধ্যে তারা অনন্তকাল থাকবে, আরো (ওয়াদা দিয়েছেন) ঐ উত্তম বাসস্থান সমূহের যা চিরস্থায়ী উদ্যানসমূহে অবস্থিত হবে। আর আল্লাহর সন্তুষ্টি হচ্ছে সর্বাপেক্ষা বড় নিয়ামত। আর এটা হচ্ছে অতি বড় সফলতা।” (সূরা তাওবা: ৭২)

জান্নাতের সমস্ত নিয়ামত সমূহের মধ্যে আল্লাহর সন্তুষ্টি

সূরা তাওবার আয়াতে আল্লাহ নিজেই স্পষ্ট করেছেন যে, জান্নাতের সমস্ত নিয়ামত সমূহের মধ্যে আল্লাহর সন্তুষ্টি সবচেয়ে বড় নিয়ামত। উল্লিখিত আয়াতের তাফসীরে রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন: আল্লাহ জান্নাতীদেরকে লক্ষ্য করে বলবেন: হে জান্নাতীরা! জান্নাতীরা বলবে হে আমাদের রব! আপনার নিকট।

পোস্ট ট্যাগঃ

জান্নাতের হুরদের নাম
জান্নাতের হুরদের নাম কি
হুরে জান্নাত নামের অর্থ কি
হুরে জান্নাত
জান্নাত ও জাহান্নামের নাম
জান্নাতের নাম ও অর্থ
জান্নাতের হুর
জান্নাতের হুরের বর্ণনা
জান্নাতের সবচেয়ে সুন্দরী হুরের নাম কি
জান্নাতের হুর কেমন হবে
জান্নাতের সর্দার কে
জান্নাতের হুরদের গান
জান্নাতে হুরদের গান
জান্নাতের ঘর

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url