জাহান্নামে কারা চিরকাল থাকবে

জাহান্নামে (jahannam) কারা চিরকাল থাকবে

জাহান্নামে (jahannam) কারা চিরকাল থাকবে

জাহান্নামে চিরকাল থাকবে কাফির ব্যক্তিগণ। যারা অবিশ্বাসী ও অস্বীকারকারী অর্থাৎ আল্লাহপাকে ও নবী রাসূলগণকে বিশ্বাস করে না। তারাই চিরকাল জাহান্নামে থাকবে।

জাহান্নামীরা (jahannam) কি চিরকাল জাহান্নামে থাকবে

যার অন্তরে একত্ববাদের উপর বিশ্বাস আছে তাকে আল্লাহপাক একসময় জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিবেন বলে আল কুরআনের একাধিক আয়াতে রয়েছে।

জাহান্নামের আয়াত

আরবির বাংলা অর্থ: “ওমার বিন আবদুল আযীয (রা) একদা তাহাজ্জুদ নামায পড়তেছিলেন, যখন তিনি এ আয়াত “যখন তাদের গলদেশে বেড়ি ও শৃঙ্খল থাকবে তাদেরকে টেনে নিয়ে যাওয়া হবে। ফুটন্ত পানিতে, এরপর তাদেরকে দগ্ধ করা হবে অগ্নিতে।) (সূরা মু'মিন ৭১-৭২)

জাহান্নামের সর্বনিম্ন আযাব কি

জাহান্নামের সর্বনিম্ন আযাব হলো একজন ব্যক্তিকে আগুনের জুতা পড়ানো হবে আর সে আগুনের হিটে তার মাথার মগজ টগবগ করে ফুটতে থাকবে। আর এটাই জাহান্নামের সর্বনিম্ন শাস্তির নমুনা। আল্লাহপাক আমাদেরকে জাহান্নাম থেকে বাচান আমিন।

জাহান্নামের হাদিস

জাহান্নামের হাদিসঃ রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন: তিনটি স্থানে কেউ কাউকে স্মরণে রাখতে পারবে না। মিযানের নিকট যতক্ষণ না জানতে পারবে যে, তার (নেকীর) পাল্লা ভারী হয়েছে না হালকা, আমলনামা পেশ করার সময়, যখন বলা হবে আস তোমার আমল নামা পাঠ কর। যতক্ষণ না জানতে পারবে যে, তার আমলনামা ডান হাতে দেয়া হচ্ছে না পিঠের পিছন দিক থেকে বাম হাতে। পুলসিরাতের ওপর দিয়ে অতিক্রম করার সময় যখন তা জাহান্নামের ওপর রাখা হবে।” (আবু দাউদ ৪৭৫৫)

জাহান্নাম (jahannam) ফেরেশতা

ফেরেশতাদের জাহান্নামে কোনো শাস্তি হবে না এরপরও তারা আল্লাহর শাস্তির ভয়ে ভীত থাকে:

আরবির বাংলা অর্থ: আর আল্লাহকেই সিজদা করে আসমানসমূহে যা আছে এবং জমিনে যে প্রাণী আছে, আর ফেরেশতারা এবং তারা অহঙ্কার করে না। তারা তাদের উপরস্থ রবকে ভয় করে এবং তাদেরকে যা নির্দেশ দেয়া হয়, তারা তা করে । (সূরা নাহল ৪৯-৫০)

আল্লাহর ভয়ে ফেরেশতারা ভীত সন্ত্রস্ত থাকে

আরবির বাংলা অর্থ: আর তারা বলে, ‘পরম করুণাময় সন্তান গ্রহণ করেছেন।' অথচ তিনি পবিত্র। বরং তারা”” সম্মানিত বান্দা। তারা তাঁর আগ বাড়িয়ে কোনো কথা বলে না, তাঁর নির্দেশেই তো তারা কাজ করে। তাদের সামনে ও পেছনে যা কিছু আছে সবই তিনি জানেন। আর তারা শুধু তাদের জন্যই সুপারিশ করে যাদের প্রতি তিনি সন্তুষ্ট। তারা তাঁর ভয়ে ভীত। (সূরা আম্বিয়া ২৬-২৮)

জাহান্নাম (jahannam) নবীগণ

নবীগণের সর্দার মুহাম্মদ সাঃ আল্লাহর আযাবের ভয়ে ভীত সন্ত্রস্ত থাকতেন:

বনু খুযা'আ দাবী করত, ফেরেশতারা আল্লাহর কন্যা। এ ভুল ধারণা দূর করতে আল্লাহ বলেন, ফেরেশতারা আল্লাহর সন্তান নয়; বরং তারা সম্মানিত বান্দা। আল-কাশশাফ

ফেরেশতারা আল্লাহর ভয়ে সর্বদা ভীত থাকে

আরবির বাংলা অর্থ: বল, 'যদি আমি আমার রবের অবাধ্য হই তবে নিশ্চয় আমি ভয় করি মহা দিবসের আযাবকে। সেদিন যার থেকে আযাব সরিয়ে নেয়া হবে তাকেই তিনি অনুগ্রহ করবেন, আর এটাই প্রকাশ্য সফলতা। (সূরা আনআম ১৫-১৬)

জাহান্নামের ওপর দিয়ে অতিক্রম করার সময় সমস্ত নবীগণ বলতে থাকবে যে হে আল্লাহ আমাকে নিরাপত্তা দিন:

আরবির বাংলা অর্থ: “আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি নবী সাঃ থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেছেন: জাহান্নামের ওপর পুলসিরাত পাতা হবে, আমি এবং আমার উম্মতই সর্বপ্রথম তা অতিক্রম করব, সেদিন রাসূল সাঃ ব্যতীত আর কেউ কথা বলবে না, আর রাসূল সাঃ শুধু বলতে থাকবে “হে আল্লাহ! আমাকে নিরাপদে রাখ, হে আল্লাহ! আমাকে নিরাপদে রাখ।”

জাহান্নামে সা'দানের কাঁটা

আর জাহান্নামে (jahannam) সা'দানের কাঁটার মত হুক থাকবে, তোমরা কি সা'দান গাছের কাটা দেখেছ? সবাই বলল: হ্যাঁ। হে আল্লাহ রাসূল সাঃ! সে হুকগুলো সা'দান বৃক্ষের কাঁটার ন্যায় হবে। তবে তার বিরাটত্ব সম্পর্কে এক মাত্র আল্লাহই ভাল জানেন। ঐ হুকগুলো লোকদেরকে তাদের আমল অনুযায়ী ছোবল দিবে।

তাদের মধ্যে কিছু সংখ্যক থাকবে ঈমানদার, যারা তাদের নেক আমলের কারণে রক্ষা পেয়ে যাবে। আর কিছু সংখ্যক বদ-আমলের কারণে ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে। কিছু সংখ্যককে টুকরো টুকরো করে দেয়া হবে, আর কিছু সংখ্যককে পুরস্কার দেয়া হবে। বা অনুরূপ কথা বলা হয়েছে।” (বুখারী)

জাহান্নামের ভয়ানক আওয়াজ শুনে সমস্ত ফেরেশতা এবং নবীগণ এমনকি ইবরাহিম (আঃ) আল্লাহর নিকট নিরাপত্তার জন্য আবেদন করবে:

জাহান্নামের ক্রুব্ধ গর্জন

আরবির বাংলা অর্থ: “ওবাইদ বিন উমাইর (রা) আল্লাহর বাণী “তারা শুনতে পারবে জাহান্নামের ক্রুব্ধ গর্জন” তাফসীরে বলেছেন: যখন জাহান্নাম (jahannam) রাগে গর্জন করতে থাকবে, তখন সমস্ত নৈকট্য লাভকারী ফেরেশতা মর্যাদাবান নবীগণ, এমন কি ইবরাহিম (আঃ) হাটুর ওপর ভর করে বসে আল্লাহর নিকট আবেদন করতে থাকবে যে, হে আমার রব! আজ আমি তোমার নিকট একমাত্র আমার জীবনের নিরাপত্তা কামনা করি।” (ইবনে কাসীর)

তাহাজ্জুদ নামাযে রাসূল সাঃ আমার আযাব সম্পর্কে একটি আয়াত বারবার পাঠ করতে করতে রাত পার করে দিতেন

রাসূল সাঃ তাহাজ্জুদ পড়তেছিলেন

আরবির বাংলা অর্থ:“আবু যার (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: এক রাতে রাসূল সাঃ তাহাজ্জুদ পড়তেছিলেন এবং সকাল পর্যন্ত একটি আয়াতই তেলাওয়াত করেছেন। (আর তা হলো) “আপনি যদি তাদেরকে শাস্তি প্রদান করেন তবে, ওরাতো আপনার বান্দা, আর যদি তাদেরকে ক্ষমা করে দেন তবে আপনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।” (ইবনে মাজাহ)

জাহান্নামে যাওয়ায় কাঁদবেন

রাসূল সাঃ স্বীয় উম্মতের কিছু কিছু লোক জাহান্নামে (jahannam) যাওয়ায় কাঁদবেন:

আরবির বাংলা অর্থ: “আবদুল্লাহ বিন আমর বিন আস (রা) নবী থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি ঐ আয়াত পাঠ করলেন যেখানে ইবরাহিম (আ) বলছিলেন:হে আমার রব! এ মূর্তিসমূহ বহু লোককে পথভ্রষ্ট করেছে, অতএব যে আমার অনুকরণ করবে সে আমার দলভুক্ত, কিন্ত কেউ আমার অবাধ্য হলে আপনিতো ক্ষমাশীল পরম দয়ালু এবং ঈসা (আঃ) বলেছেন:

আপনি যদি তাদেরকে শাস্তি প্রদান করেন তবে, ওরাতো আপনার বান্দা, আর যদি তাদেরকে ক্ষমা করে দেন তবে আপনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। তখন তিনি হাত তুলে বলতে লাগলেন। হে আল্লাহ! আমার উম্মত আমার উম্মত এবং কাঁদতে লাগলেন, আল্লাহ বললেন: হে জিবরীল!

উম্মতের ব্যাপারে সন্তুষ্ট করবেন

তুমি মোহাম্মদের নিকট যাও, তোমার প্রভু তার সম্পর্কে অবগত আছে, অতএব তুমি তাকে জিজ্ঞেস কর, কেন তুমি কাঁদতেছ, তাঁর নিকট জিবরাঈল! এসে তাঁকে জিজ্ঞেস করল তখন তিনি তাকে (কারণ বললেন) এরপর সে আল্লাহর নিকট এসে বলল: (আর তিনি তা আগে থেকেই জানেন)।

আল্লাহ বললেন: হে জিবরাঈল! তুমি মুহাম্মদের নিকট যাও এবং তাকে বল আল্লাহ তোমাকে তোমার উম্মতের ব্যাপারে সন্তুষ্ট করবেন অসন্তুষ্ট করবেন না।” (মুসলিম)

জাহান্নাম সাহাবাগণ

আয়েশা (রাঃ) জাহান্নামের (jahannam) আগুনের কথা স্মরণ করে কাঁদতেন:

আরবির বাংলা অর্থ: “আয়েশা (রাঃ) জাহান্নামের আগুনের কথা স্মরণ করে কাঁদতে লাগলেন, রাসূলূল্লাহ সাঃ জিজ্ঞেস করলেন: কে তোমাকে কাঁদাল? সে বলল: আমি জাহান্নামের কথা স্মরণ করে কাঁদতেছি। আপনি কি কিয়ামতের দিন আপনার পরিবারের কথা স্মরণে রাখবেন?

জাহান্নামের কথা স্মরণ করে

রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন: তিনটি স্থানে কেউ কাউকে স্মরণে রাখতে পারবে না। মিযানের নিকট যতক্ষণ না জানতে পারবে যে, তার (নেকীর) পাল্লা ভারী হয়েছে না হালকা, আমলনামা পেশ করার সময়, যখন বলা হবে আস তোমার আমল নামা পাঠ কর।

পুলসিরাতের ওপর দিয়ে অতিক্রম

যতক্ষণ না জানতে পারবে যে, তার আমলনামা ডান হাতে দেয়া হচ্ছে না পিঠের পিছন দিক থেকে বাম হাতে। পুলসিরাতের ওপর দিয়ে অতিক্রম করার সময় যখন তা জাহান্নামের ওপর রাখা হবে।” (আবু দাউদ ৪৭৫৫)

জাহান্নামের কথা স্মরণ করে কান্না

আবদুল্লাহ বিন রাওয়াহা ও তার স্ত্রীর জাহান্নামের (jahannam) কথা স্মরণ করে কান্না:

আরবির বাংলা অর্থ: “কায়েস বিন হাযেম (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আবদুল্লাহ বিন রাওয়াহা (রা) স্বীয় স্ত্রীর কোলে মাথা রেখে হঠাৎ কাঁদতে লাগল, তার সাথে তার স্ত্রীও কাঁদতে লাগল। আবদুল্লাহ বিন রাওয়াহা জিজ্ঞেস করল, তুমি কেন কাঁদছ? স্ত্রী বলল: তোমাকে কাঁদতে দেখে আমারও কান্না চলে এসেছে।

জাহান্নামের ওপর স্থাপন করা

আবদুল্লাহ বিন রাওয়াহা বলল: আমার আল্লাহর এ বাণীটি স্মরণ হলো যে, তোমাদের মধ্যে কেউ এমন নেই যে জাহান্নামের ওপর দিয়ে অতিক্রম করবে না। আর আমার জানা নেই যে, জাহান্নামের ওপর স্থাপন করা পুলসিরাত অতিক্রম করার সময় আমি রক্ষা পাব কি পাব না।” (হাকেম ৮৭৪৮)

জাহান্নামের কথা স্মরণ করে ওবাদা বিন সামেত (রা)-এর কান্না:

আরবির বাংলা অর্থ: “যিয়াদ বিন আবু আসওয়াদ (রা) ওবাদা বিন সামেত (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি একদা বাইতুল মাকদিসের পশ্চিম দেয়ালের পাশে কাঁদতে ছিলেন, কেউ কেউ তাকে জিজ্ঞেস করল হে আবু ওলীদ! কে তোমাকে কাঁদাল? সে বলল: ঐ স্থান যেখানে থেকে রাসূল সাঃ আমাদেরকে বলেছিলেন যে, তিনি জাহান্নাম দেখেছেন।” (হাকেম ৮৭৮৫)

ওমর (রা)-এর আল্লাহর আযাবের ভয়

আয়েশা (রা) জাহান্নামের গরম ও বিষাক্ত আবহাওয়ার কথা স্মরণ করে দীর্ঘক্ষণ পর্যন্ত কাঁদতে ছিলেন:

আরবির বাংলা অর্থ: “ওরওয়া (রা) তার পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেছেন: সকালে যখন আমি ঘর থেকে বের হতাম, তখন সর্বপ্রথম আয়েশা (রা)-এর ঘরে গিয়ে তাকে সালাম করতাম, একদিন আমি ঘর থেকে বের হলাম এবং সেখানে গিয়ে দেখলাম আয়শা (রা) নামাযে দাঁড়িয়ে কুরআন মাজীদের এ আয়াত

“অতপর আল্লাহ আমাদের প্রতি দয়া করেছেন এবং আমাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা করেছেন।” তেলাওয়াত করতেছিলেন, আয়েশা (রা) এ আয়াতটি বারবার পড়ছিলেন আর কাঁদতে ছিলেন, আমি অপেক্ষা করতে লাগলাম, এমনকি আমি ক্লান্ত হয়ে গেলাম এবং কিছু প্রয়োজনীয় কাজে আমি বাজারে চলে গেলাম, ফিরে এসে দেখি তখনো তিনি নামাযে দাঁড়িয়ে আছেন। আর ঐ আয়াতটি পড়ে পড়ে কাঁদতেছেন।” (সাফওয়াতুস সফওয়া)

ওমর (রা) আযাবের আয়াত তেলাওয়াত

ওমর (রা) আযাবের আয়াত তেলাওয়াত করে এত কাঁদলেন যে, তিনি অসুস্থ হয়ে গেলেন

আরবির বাংলা অর্থ: “ওমার বিন খাত্তাব (রা) সূরা তূর তেলাওয়াত করতেছিলেন যখন এ আয়াতে “নিশ্চয়ই তোমার রবের শাস্তি আসবে” পৌঁছলেন তখন তিনি কাঁদতে লাগলেন এবং তাঁর কান্না বৃদ্ধি পেতে লাগল, এমন কি তিনি কাঁদতে কাঁদতে অসুস্থ হয়ে গেলেন এবং লোকেরা তাঁকে দেখতে আসতে লাগল।

আরবির বাংলা অর্থ: “ওমার বিন খাত্তাব (রা)-এর চেহারায় (অধিক পরিমাণে) কান্নার ফলে দু'টি কাল দাগ পড়ে গিয়েছিল।” (আযযুহদ লিল বাইহাকী)

মুয়ায বিন জাবাল (রা) জাহান্নামের কথা স্মরণ

আবদুল্লাহ বিন মাসউদ (রা) কামারের দোকানে আগুন দেখে কাঁদতে লাগলেন:

মুয়ায বিন জাবাল (রা) জাহান্নামের (jahannam) কথা স্মরণ করে অধিক পরিমাণে কাঁদতে লাগলেন:

আরবির বাংলা অর্থ: “মুয়ায বিন জাবাল (রা) খুব কান্নাকাটি করলেন, তাকে জিজ্ঞেস করা হলো আপনি কেন কাঁদতেছেন? মুয়ায (রা) বলল: আল্লাহ তাআলা তাঁর উভয় মুষ্টি সমস্ত সৃষ্টি দিয়ে ভরে তার এক মুষ্টি নিক্ষেপ করলেন জাহান্নামে, আর এক মুষ্টি জান্নাতে, আমি জানিনা যে, আমার স্থান কোথায় হবে।”

নোট: উল্লেখ্য রাসূল সাঃ বলেছেন: আল্লাহ তাআলা জান্নাত ও জাহান্নাম সৃষ্টি করেছেন এবং এ উভয়ের জন্যই ভিন্ন ভিন্ন লোকও তৈরী করেছেন।” (মুসলিম)

জাহান্নামীদের পানি চাওয়ার কথা স্মরণ

আবদুল্লাহ বিন ওমার (রা)-এর জাহান্নামীদের পানি চাওয়ার কথা স্মরণ হলে কাঁদতে লাগলেন:

আরবির বাংলা অর্থ: “সামীর রিয়াহি তার পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেছেন: আবদুল্লাহ বিন ওমার (রা) ঠাণ্ডা পানি পান করে কাঁদতে লাগলেন এবং যথেষ্ট পরিমাণে কাঁদলেন, তাকে জিজ্ঞেস করা হলো আপনি কেন এত কাঁদতেছেন? আবদুল্লাহ বিন ওমার (রা) বললেন: আমার কুরআন মাজীদের এ আয়াতটি স্মরণ হলো

“তাদের ও তাদের কামনার মাঝে অন্তরাল করা হয়েছে” আর আমি জানি যে, জাহান্নামীরা ঐ সময়ে শুধু একটি জিনিসই চাইবে আর তা হলো পানি। কেননা আল্লাহ বলেছেন: জাহান্নামীরা জান্নাতীদের নিকট আবেদন করবে যে, সামান্য পানি আমাদেরকে ঢেলে দাও, বা তোমাদেরকে আল্লাহ যে রিযিক দিয়েছে তা থেকে আমাদেরকে কিছু দাও।”

সাঈদ বিন যোবইর (রা) জাহান্নামের স্মরণে

সাঈদ বিন যোবইর (রা) জাহান্নামের (jahannam) স্মরণে কখনো হাসতেন না:

আরবির বাংলা অর্থ: “হাজ্জাজ সাঈদ বিন যুবাইর (রা)-কে আশ্চর্য হয়ে জিজ্ঞেস করল, আমি শুনেছি যে তুমি নাকি কখনো হাসনা! যুবাইর (রা) বললেন: আমি কি করে হাসব অথচ জাহান্নামকে উদ্দীপিত করা হয়েছে, লোহার বেড়ী প্রস্তুত করা হয়েছে, জাহান্নামের ফেরেশতারা প্রস্তুত হয়ে আছে। (সাফওয়াতুস সাফওয়া)

কোনো মু'মিন পুলসিরাত পার হওয়ার আগে নির্ভয় হতে পারবে না

আরবির বাংলা অর্থ: “মুয়াজ বিন জাবাল (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন: মু'মিন ব্যক্তি পুলসিরাত অতিক্রম করার পূর্ব পর্যন্ত নির্ভয় হতে পারবে না।”

জাহান্নাম পূর্বসূরীগণ

ওমর বিন আবদুল আযীয (রা) জাহান্নামের (jahannam) বেড়ী ও জিঞ্জীর সংক্রান্ত আয়াতটি বার বার তেলাওয়াত করে করে রাত ভর কাঁদতেন

অথ: “ওমার বিন আবদুল আযীয (রা) একদা তাহাজ্জুদ নামায পড়তেছিলেন, যখন তিনি এ আয়াত “যখন তাদের গলদেশে বেড়ি ও শৃঙ্খল থাকবে তাদেরকে টেনে নিয়ে যাওয়া হবে। ফুটন্ত পানিতে, এরপর তাদেরকে দগ্ধ করা হবে অগ্নিতে।) (সূরা মু'মিন ৭১-৭২)

জাহান্নামে (jahannam) কারা চিরকাল থাকবে উপসংহার

আজকের পোস্টে আমরা জানলাম যে, জাহান্নামে কারা চিরকাল থাকবেজাহান্নামের আগুন,জাহান্নামের আজাব,আমি জাহান্নামের আগুনে বসিয়া হাসি পুষ্পের হাসি,জাহান্নামের নাম কি কি,জাহান্নামের আগুনের রং কি,জাহান্নামের শাস্তি,কারা বিনা হিসাবে জাহান্নামে যাবে ইত্যাদি।

পোস্ট ট্যাগঃ

জাহান্নামে কারা চিরকাল থাকবে
জাহান্নামে কারা চিরকাল থাকবে mcq
জাহান্নামে যাওয়ার কারণ
কারা চিরস্থায়ী জাহান্নামী
জাহান্নামীদের লক্ষণ
জাহান্নামে (jahannam) কারা চিরকাল থাকবে

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url