গোসল ফরজ অবস্থায় পুরুষদের জন্য সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ কাজসমূহ
🕌 গোসল ফরজ অবস্থায় পুরুষদের জন্য সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ কাজসমূহ
✨ ভূমিকা
ইসলামে পবিত্রতা ঈমানের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আল্লাহ তাআলা বলেন— “নিশ্চয়ই আল্লাহ তাওবাকারী ও পবিত্রতা অর্জনকারীদের ভালোবাসেন।” (সুরা বাকারা: ২২২) যখন কারও উপর গোসল ফরজ হয়ে যায়, তখন তিনি ‘জুনুব’ অবস্থায় থাকেন। এ অবস্থায় কিছু ইবাদত ও কাজ একেবারেই নিষিদ্ধ। আজকের এই লেখায় আমরা জেনে নেবো, গোসল ফরজ অবস্থায় পুরুষদের জন্য নিষিদ্ধ কাজসমূহ।
🚫 গোসল ফরজ অবস্থায় নিষিদ্ধ কাজ
১️⃣ নামাজ আদায় করা
- ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নত বা নফল— কোনো নামাজই বৈধ নয়।
- গোসল না করলে নামাজ কবুল হবে না।
২️⃣ কুরআন তিলাওয়াত করা
- মুখস্থ বা কিতাব থেকে— কোনোভাবেই কুরআন তিলাওয়াত করা যাবে না।
- তবে দোয়া বা যিকির আকারে ছোট ছোট শব্দ বলা যাবে (যেমন, “বিসমিল্লাহ”, “আল্লাহু আকবার”)।
৩️⃣ কুরআন স্পর্শ করা
- কুরআনের মুশাফ বা অক্ষর সরাসরি স্পর্শ করা নিষিদ্ধ।
- তবে কাভার, কাপড় বা তাকের উপর দিয়ে ধরলে অনুমোদিত।
৪️⃣ মসজিদে প্রবেশ করা
- জুনুব অবস্থায় মসজিদে প্রবেশ ও অবস্থান করা হারাম।
- শুধু জরুরি প্রয়োজনে অতিক্রম করে যাওয়া যাবে।
৫️⃣ কাবা শরিফ তাওয়াফ করা
- হজ বা উমরাহর সময় তাওয়াফের জন্য সম্পূর্ণ পবিত্রতা জরুরি।
- জুনুব অবস্থায় তাওয়াফ করলে তা বাতিল হবে।
✅ জুনুব অবস্থায় যা বৈধ
- রোজা রাখা যাবে, তবে ইফতারের আগে গোসল করে নিতে হবে।
- আজান শোনা, যিকির, দরুদ ও দোয়া করা যাবে।
- অন্যান্য সাধারণ কথাবার্তা বা কাজকর্ম করা বৈধ।
🌿 উপসংহার
গোসল ফরজ হওয়ার পর দেরি না করে দ্রুত পবিত্রতা অর্জন করা একজন মুসলিমের জন্য জরুরি। কারণ এ অবস্থায় অনেক ইবাদত থেকে বঞ্চিত থাকতে হয়। তাই যত দ্রুত সম্ভব গোসল করে আল্লাহর ইবাদতের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করা উচিত।
পোস্ট ট্যাগ:
- গোসল ফরজ অবস্থায় নিষিদ্ধ কাজ
- জুনুব অবস্থায় কি করা যাবে না
- ইসলামিক পবিত্রতা নিয়ম
- ফরজ গোসলের বিধান