জান্নাতি নামের অর্থ কি

জান্নাতি নামের অর্থ কি

জান্নাতি নামের অর্থ কি

জান্নাতি একটি আরবি শব্দ যার অর্থ হলো বাগান, উদ্যান, উন্মুক্ত স্থান ইত্যাদি। জান্নাতি শব্দটির অর্থ কিছুটা জান্নাত এর সাথে সম্পর্কিত মানে জান্নাত অর্থও বাগান। তাই আমরা জান্নতি শব্দের অর্থ জানার পর নাজ নিয়ামতে ভরপুর জান্নাতের বর্ণনা সমূহ সংক্ষপে জানতে পারবো নিচের পোস্টটি পুরোটা ভালোভাবে পড়তে হবে।

জান্নাতিদের বৈঠক আসনসমূহ

জান্নাতিরা দূর্লব ও মূল্যবান রেশমী বিছানায় হেলান দিয়ে স্বীয় বাগান ও ঘরে বসবে:

অর্থ: সেখানে পুরু রেশমের আস্তরবিশিষ্ট বিছানায় তারা হেলান দেয়া অবস্থায় থাকবে এবং দুই জান্নাতের ফল-ফলাদি থাকবে নিকটবর্তী। সুতরাং তোমাদের রবের কোনো নিআমতকে তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে? (সূরা রাহমান ৫৪-৫৫)

জান্নাতিরা সামনা সামনি রাখা খুব সুন্দর খাটে বসবে

জান্নাতিরা সামনাসামনি রাখা খাটে বসে চাহিদা মতো পানাহারে আত্মতৃপ্তি লাভ করবে:

অর্থ: তাদের জন্য থাকবে নির্ধারিত রিযিক, ফলমূল; আর তারা হবে সম্মানিত, নি'আমত-ভরা জান্নাতে, মুখোমুখি পালঙ্কে। তাদের চারপাশে ঘুরে ঘুরে পরিবেশন করা হবে বিশুদ্ধ সুরাপাত্র, সাদা, পানকারীদের জন্য সুস্বাদু। তাতে থাকবে না ক্ষতিকর কিছু এবং তারা এগুলো দ্বারা মাতালও হবে না। তাদের কাছে থাকবে আনতনয়না, ডাগর চোখা। তারা যেন আচ্ছাদিত ডিম। (সূরা সাফ্ফাত ৪১-৪৯)

জান্নাতিরা সুরাপাত্র পানের আগ্রহ করবে

সোনা, চাঁদি ও জাওহারের মূল্যবান পাথর দিয়ে তৈরি আসনসমূহ পরস্পরের সামনে বসে জান্নাতিরা সুরাপাত্র পানের আগ্রহ প্রকাশ করবে:

অর্থ: তারাই সান্নিধ্যপ্রাপ্ত। তারা থাকবে নিআমতপূর্ণ জান্নাতসমূহে। বহুসংখ্যক হবে পূর্ববর্তীদের মধ্য থেকে, আর অল্পসংখ্যক হবে পরবর্তীদের মধ্য থেকে। স্বর্ণ ও দামী পাথরখচিত আসনে! তারা সেখানে হেলান দিয়ে আসীন থাকবে মুখোমুখি অবস্থায়। তাদের আশ-পাশে ঘোরাফেরা করবে চির কিশোররা, পানপাত্র, জগ ও প্রবাহিত ঝর্ণার শরাবপূর্ণ পেয়ালা নিয়ে, তা পানে না তাদের মাথা ব্যথা করবে, আর না তারা মাতাল হবে। (সূরা ওয়াক্বিয়াহ ১০-১৯)

জান্নাতিদের বসার আসন সবুজ রং কার্পেট দ্বারা নির্মিত

মাসআলা-২৩৩: কোনো কোনো আসন উঁচু স্তরে থাকবে যা মখমল ও নরম কার্পেটের তৈরি খুব সুন্দর বিছানা ও মূল্যবান বালিশ সজ্জিত থাকবে জান্নাতিরা যেখানে খুশি সেখানে তাদের বৈঠকখানা স্থাপন করতে পারবে:

মাসআলা-২৩৪: জান্নাতিরা ঘনছায়াময় স্থানে মসনদ স্থাপন করে স্বীয় স্ত্রীদের সাথে আনন্দময় আলাপচারিতায় মেতে উঠবে:

জান্নাতিদের সেবক

জান্নাতিদের সেবকরা সর্বদা শৈশব বয়সী হবে: জান্নাতিদের সেবক সর্বদা মোতির ন্যায় সুন্দর ও মনপুত দৃশ্যমান হবে: জান্নাতিদের সেবক এত চৌকশ হবে যে, চলতে ফিরতে এমন মনে হবে যেন বিক্ষিপ্ত মোতি:

জান্নাতিদের সেবক ধুলাবালি মুক্ত মোতির ন্যায় পরিচ্ছন্ন থাকবে:

জান্নাতিদের সেবক হবে মুশরিকদের নাবালেগ বয়সে মৃত্যুবরণকারী কিছু বাচ্চা
জান্নাতের নেয়ামত

অর্থ: “হযরত আনাস বিন মালেক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে জিজ্ঞেস করলাম মুশরিকদের (নাবালেগ বয়সে মৃত্যুবরণ কারী) বাচ্চাদের সম্পর্কে, যে তাদের কোনো পাপ নেই, যে কারণে তারা জাহান্নামের শাস্তি ভোগ করবে, বা এমন কোনো সাওয়াবও নেই যার ওসীলায় তারা জান্নাতের বাদশা হবে। তাহলে তাদের কি হবে? তিনি উত্তরে বললেন: তারা জান্নাতিদের খাদেম হবে।” (আবু নুয়াইম ওধাবু ইয়ায়লা)

জান্নাতির রমণী

জান্নাতি মহিলারা সর্বপ্রকার প্রকাশ্য দোষ-ত্রুটি (হায়েয, নেফাস ইত্যাদি) এবং অপ্রকাশ্য দোষ-ত্রুটি (রাগ, হিংসা ইত্যাদি) মুক্ত হবে:

জান্নাতে প্রবেশকারী মহিলাদেরকে আল্লাহ নতুনভাবে সৃষ্টি করবেন এবং তারা কুমারী অবস্থায় জান্নাতে প্রবেশ করবে: জান্নাতি মহিলা তার স্বামীর সাথে মিলন হওয়ার পরও চিরকাল কুমারী থাকবে: জান্নাতি মহিলারা তাদের স্বামীদের সম বয়সী হবে: জান্নাতি মহিলারা তাদের স্বামী প্রেমী হবে:

অর্থ: সেই জান্নাতসমূহে থাকবে উত্তম চরিত্রবতী অনিন্দ্য সুন্দরীগণ। সুতরাং তোমাদের রবের কোনো নিআমতকে তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে? (সূরা রাহমান ৭০-৭১)

জান্নাতি মহিলারা সৌন্দর্য চারিত্রিক গুণাবলী হবে

অর্থ: নিশ্চয় আমি হুরদেরকে বিশেষভাবে সৃষ্টি করবো। অতঃপর তাদেরকে বানাব কুমারী, সোহাগিনী ও সমবয়সী। ডানদিকের লোকদের জন্য। (সূরা ওয়াক্বিয়াহ ৩৫-৩৮)

জান্নাতের আনন্দের পূর্ণতা লাভ হবে রমণীদের সাথে মিলনের মাধ্যমেঃ

অর্থ: “উম্মে সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি জিজ্ঞেস করলাম হে আল্লাহ রাসূল! সাঃ বলুন যে, পৃথিবীর নারীরা উত্তম না জান্নাতের হুরেরা? তিনি বললেন: বরং পৃথিবীর নারীরা হুরদের চেয়ে উত্তম। যেমন কাপড়ের বাহিরের দিকটি ভিতরের দিকের চেয়ে উত্তম। আমি জিজ্ঞেস করলাম ইয়া রাসূলুল্লাহ! এটা কেন? তিনি বললেন: তাদের নামায রোযা ও অন্যান্য ইবাদতের কারণে যা তারা আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে করে থাকে।” (ত্ববারানী)

জান্নাতের নারীর মাথার উড়না পৃথিবীর সমস্ত নিআমত থেকে মূল্যবান

কোনো রমণী পৃথিবীতে উঁকি দিত, তাহলে পূর্ব থেকে পশ্চিম-এর মাঝে যাকিছু আছে সব কিছু আলোক উজ্জ্বল হয়ে যেত। আর সমস্ত জাগয়াকে সুগন্ধিতে ভরে দিত, জান্নাতের নারীর মাথার উড়না পৃথিবীর সমস্ত নিআমত থেকে মূল্যাবান।” (বোখারী ৬৫৬৮)

জান্নাতির বিয়ে আদম সন্তানদের মধ্য থেকে দু'জন মহিলার সাথে হবে:

মাসআলা-২৫১: জান্নাতি মহিলারা একই সাথে সত্তর জোড়া পোশাক পরিধান করে সজ্জিত হবে, যা এতো উন্নতমানের হবে যে, এর ভিতর দিয়ে তাদের শরীর দেখা যাবে:

অর্থ: আবু সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি নবী সাঃ বলেন: কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম যে দল জান্নাতে প্রবেশ করবে তাদের চেহারা চৌদ্দ তারিখের চাঁদের ন্যায় উজ্জ্বল হবে। দ্বিতীয় দলটির চেহারা আকাশে আলোকময় কোনো তারকার ন্যায় হবে। উভয় দলের পুরুষদেরকে দু'জন করে স্ত্রী দেয়া হবে।

প্রত্যেক স্ত্রী সত্তর জোড়া করে কাপড় পরিধান পরে থাকবে। আর ঐ কাপড় এতো পাতলা হবে সে এর মধ্য দিয়ে তাদের পায়ের গোছার মজ্জা দেখা যাবে।” (তিরমিযী ২৫৩৫)

অর্থ: “ইবনে কাসীর (রাঃ) বলেন: এর উদ্দেশ্য হলো এই যে, এ উভয় রমণী আদম সন্তানদের মধ্য থেকে হবে। আর তাদের উভয়ের সাথে থাকবে আল্লাহর ইচ্ছা অনুযায়ী হুরেইনরা।” (এ ব্যাপারে আল্লাহই সর্বাধিক জ্ঞাত)

জান্নাতি রমণীরা তাদের ইচ্ছানুযায়ী তাদের দুনিয়ার স্বামী গ্রহণ

জান্নাতে প্রবেশকারী রমণীরা তাদের ইচ্ছা ও পছন্দানুযায়ী তাদের দুনিয়ার স্বামীদেরকে গ্রহণ করবে। তবে এর জন্য শর্ত হলো এই যে, ঐ স্বামীকেও জান্নাতি হতে হবে। অন্যথায় আল্লাহ তাদেরকে অন্য কোনো জান্নাতির সাথে বিয়ে দিয়ে দিবেন:

মাসআলা-২৫৪: যে মহিলাদের দুনিয়াতে একাধিক স্বামী ছিল ঐ রমণীদেরকে তাদের ইচ্ছা ও পছন্দানুযায়ী তাদের দুনিয়ার স্বামীদের মধ্য থেকে কোনো একজনকে গ্রহণ করার সুযোগ দেয়া হবে:

অর্থ: “উম্মে সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি জিজ্ঞেস করলাম ইয়া রাসূলুল্লাহ সাঃ! আমাদের মধ্য থেকে কোনো কোনো মহিলা দুনিয়ায় একাধিক স্বামীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়, মৃত্যুর পর যদি ঐ মহিলা জান্নাতে যায় এবং তার সমস্ত স্বামীরাও যদি জান্নাতে যায় তাহলে এদের মধ্যে কোনো ব্যক্তি তার স্বামী হবে?

নবী সাঃ বললেন: হে উম্মে সালামা! ঐ মহিলা তার স্বামীদের মধ্য থেকে যে কোনো একজনকে বাছাই করবে। আর সে নিঃসন্দেহে উত্তম চরিত্রের অধিকারী স্বামীকেই বেছে নিবে।

মহিলা আল্লাহর নিকট আরয করবে যে, হে আমার প্রভু! এ ব্যক্তি দুনিয়াতে সবচেয়ে বেশি ভাল চরিত্র নিয়ে আমার সাথে চলেছে, অতএব তার সাথেই আমাকে বিয়ে দিন। হে উম্মে সালামা উত্তম চরিত্র দুনিয়া ও আখেরাতের সমস্ত কল্যাণের মধ্যে উত্তম।” (ত্বাবারানী)

জান্নাতি হুরদের সাথে কি কি করা যাবে

জান্নাতের অন্যান্য নিআমতের ন্যায় হুরেইনও একটি নিআমত হবে: কোনো কোনো হুরেইন ইয়াকুত ও মুক্তার ন্যায় লাল হবে: অতুলনীয় সুন্দরের সাথে সাথে হুরেইনরা সতিত্ব ও লজ্জাশীলাতায়ও তারা নিজেরা নিজেদের তুলনা হবে: মানব হুরদেরকে ইতিপূর্বে অন্য কোনো মানুষ স্পর্শ করে নি, জ্বিন হুরদেরকেও ইতিপূর্বে অন্য কোনো জ্বিন স্পর্শ করে নি:

নোট: উল্লেখ্য মু'মিন ও সৎ মানুষের ন্যায় মু'মিন ও সৎ জ্বিনেরাও জান্নাতে যাবে। ওখানে যেমন মানব পুরুষের জন্য মানব নারী ও মানব হুর থাকবে তেমনি পুরুষ জ্বিনের জন্যও নারী জ্বিন ও জ্বিন হুর থাকবে। অর্থাৎ মানুষের জন্য তার সমজাতীয় এবং জ্বিনের জন্যও তার সমজাতীয় জোড়া থাকবে। (এ ব্যাপারে আল্লাহই সর্বাধিক জ্ঞাত)

জান্নাতি হুর এতোটা লজ্জাশীল হবে

হুরেরা এতোটা লজ্জাশীল হবে যে, স্বীয় স্বামী ব্যতীত আর কারো দিকে চোখ তুলে তাকাবে না: হুরেরা ডিমের ভিতর লুকায়িত পাতলা চামড়ার চেয়েও অধিক নরম হবে:

জান্নাতি হুর কেমন হবে সুন্দর লাজুক চক্ষু বিশিষ্ট

জান্নাতের হুরেরা সুন্দর লাজুক চক্ষু বিশিষ্ট, মোতির ন্যায় সাদা এবং স্বচ্ছতা ও রং প্রতি নিখুঁত হবে যেন সংরক্ষিত স্বর্ণালংকার:

অর্থ: “তথায় থাকবে আয়তনয়নমা হুরগণ, আবরণে রক্ষিত মোতির ন্যায়, তারা যাকিছু করতো তার পুরস্কার স্বরূপ”। (সূরা ওয়াক্বিয়া ২২-২৪)

জান্নাতের হুরদের নাম

সংক্ষিপ্তভাবে নিচে কিছু জান্নাতি হুর দের নাম দেওয়া হলো।

“আয়মান” ”রাহমা” ”শাকিরা” ”সেবিকা” ”সুহাসিনী”

জান্নাতি হুরদের সাথে জান্নাতি পুরুষদের বিয়ে হবে

অর্থ: তোমরা তৃপ্তি সহকারে খাও ও পান করো, তোমরা যে আমল করতে তার বিনিময়ে। সারিবদ্ধ পালঙ্কে তারা হেলান দিয়ে বসবে; আর আমি তাদেরকে মিলিয়ে দেব ডাগরচোখা হুর-এর সাথে। (সূরা তূর ১৯-২০)

জান্নাতি হুরেরা তাদের স্বামীদের সমবয়সী হবে

অর্থ: “তাদের নিকট থাকবে আয়তনয়না সমবয়স্কা রমণীগণ। তোমাদেরকে এরই প্রতিশ্রুতি দেয়া হচ্ছে বিচার দিবসের জন্য।” (সূরা সোয়াদ: ৫২-৫৩)

মাসআলা-২৬৪: সুন্দর মোতির তাবুতে হুরেরা থাকবে, যেখানে জান্নাতি পুরুষদের সাথে তাদের সাক্ষাত হবে:

তাবুতে অবস্থান কারিণী হুরগণ। অতএব তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোনো অবদানকে অস্বীকার করবে?” (সূরা রহমান ৭২-৭৫)

জান্নাতি স্বামীদেরকে আনন্দদানে জান্নাতি হুরদের সংগীত

অর্থ: “আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাঃ জান্নাতে আকর্ষণীয় চক্ষু বিশিষ্ট হুরেরা সংগীত পরিবেশন করবে এ বলে:

আমরা সুন্দর এবং সতী সৎচরিত্রের অধিকারীণী হুর, আমরা আমাদের স্বামীদের অপেক্ষায় অপেক্ষমান ছিলাম।” (ত্বাবারানী)

ঈমানদারদের জন্য জান্নাতি হুরদেরকে আল্লাহ্ বাছাই করেছেন

অর্থ: “মুয়াজ বিন জাবাল (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলূল্লাহ সাঃ বলেছেন: যখন কোনো মহিলা তার স্বামীকে কোনো কষ্ট দেয়, তখন আয়তনয়না হুরদের মধ্য থেকে মু'মিনের স্ত্রী বলবে যে আল্লাহ তেমাকে ধ্বংস করুক। তাকে কষ্ট দিওনা, সে অল্প দিনের জন্য তোমার নিকট আছে অতি শীঘ্রই সে তোমাদেরকে ছেড়ে চলে আসবে।” (ইবনে মাজাহ ২০১৪)

প্রতিশোধ গ্রহণে সক্ষম ব্যক্তি যদি প্রতিশোধ না নেয় তাহলে সে তার পছন্দমত হুরকে বিবাহ করবে

জান্নাতের সবচেয়ে বড় নিয়ামত কি

জান্নাতে জান্নাতিদের আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করা হবে তাদের জন্য সবচেয়ে বড় সফলতা বা নিয়ামত জান্নাতের সবচেয়ে বড় নিয়ামত মহান আল্লাহপাককে স্ব-চক্ষে দেখতে পাওয়া। জান্নাতিদেরকে আল্লাহ স্বয়ং তার সন্তুষ্টির কথা তাদেরকে জানাবেন

অর্থ: “আল্লাহ মু'মিন পুরুষ ও মু'মিন নারীদেরকে জান্নাতের ওয়াদা দিয়েছেন, যার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হবে নহরসমূহ, তাতে তারা চিরদিন থাকবে এবং (ওয়াদা দিচ্ছেন) স্থায়ী জান্নাতসমূহে পবিত্র বাসস্থানসমূহের। আর আল্লাহর পক্ষ থেকে সন্তুষ্টি সবচেয়ে বড়। এটাই মহাসফলতা।” (সূরা তাওবা ৭২)

জান্নাতিদের সাথে আল্লাহ কথা বলবেন

অর্থ: “আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন: আল্লাহ জান্নাতিদেরকে বলবেন হে জান্নাতিরা! তারা বলবে হে আমাদের প্রভু আমরা তোমার সামনে উপস্থিত, সমস্ত কল্যাণ তোমার হাতে, আল্লাহ বলবেন তোমরা কি সন্তুষ্ট হয়েছো? তারা বলবে হে আমাদের প্রভু!

আমরা কেন সন্তুষ্ট হব না! তুমি আমাদেরকে যা কিছু দিয়েছ তোমার সৃষ্টির অন্য কাউকে তা দাও নি। আল্লাহ বলবেন আমি কি তোমাদেরকে এর চেয়ে উত্তম জিনিস দিব না? জান্নাতিরা বলবে হে আল্লাহ! এর চেয়ে উত্তম আর কি আছে? আল্লাহ বলবেন: আমি তোমাদের প্রতি সন্তুষ্ট হলাম। এখন থেকে আমি আর কখনো তোমাদের প্রতি অসন্তুষ্ট হবো না।” (মুসলিম ২৮২৯)

পোস্ট ট্যাগঃ

জান্নাতি নামের অর্থ কি
জান্নাত নামের অর্থ কি
মিফতাহুল জান্নাত নামের অর্থ কি
আরিশা জান্নাত নামের অর্থ কি
সাবিহা জান্নাত নামের অর্থ কি
মেহেরিন জান্নাত নামের অর্থ কি
আদিবা জান্নাত নামের অর্থ কি
মেহেরিমা জান্নাত নামের অর্থ কি
সিরাতুল জান্নাত নামের অর্থ কি
নুজাইফা জান্নাত নামের অর্থ কি
জান্নাত অর্থ

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url