দ্বীনি ইলম শিক্ষার গুরুত্ব

দ্বীনি ইলম শিক্ষার গুরুত্ব

দ্বীনি ইলম শিক্ষার গুরুত্ব

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নাজরানের অধিবাসীগণকে (যারা ধর্মের দিক দিয়ে খৃষ্টান ছিল) এক পত্র লিখেন, যার এক অংশ হলো এ রকম: ‘এরপর, আমি তোমাদের এ দাওয়াত দিচ্ছি যে, তোমরা মানুষের দাসত্ব ও গোলামী ছেড়ে একমাত্র আল্লাহর দাসত্ব কবুল করো। আমি তোমাদেরকে এ দাওয়াত দিচ্ছি যে, তোমরা মানুষের প্রভুত্ব থেকে বেরিয়ে এসে আল্লাহর প্রভুত্বের ছায়াতলে আশ্রয় নাও।” (তফসীর ইবনে কাসীর, প্রথম খন্ড)

শান্তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইসলামী রাষ্ট্রই অবশ্যই কায়েম হবে

হযরত আদী বনি হাতিম রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (আমাকে) বলেছেন, 'যাঁর হাতে আমার জীবন তাঁর কসম, আল্লাহ নিশ্চয়ই এ দ্বীনকে পুরোপুরি প্রতিষ্ঠিত করে ছাড়বেন। 

(দ্বীনকে পুরোপুরি প্রতিষ্ঠিত করার মানে হচ্ছে সেদিন) এমন নিরাপদ ও শান্তিময় সমাজ কায়েম হবে যে, একজন নারী একাকী হীরা (সিরিয়া) থেকে মক্কায় গিয়ে বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করে আসবে কিন্তু তাকে বিব্রত করার মতো কেউ থাকবে না।” (আল বিদায়াহ ওয়াল নিহায়া, ৫ম খন্ড)

  • ব্যাখ্যাঃ এর অর্থ হলো, এ দ্বীন অবশ্যই রাষ্ট্র ক্ষমতা লাভ করবে। সেদিন ইসলামী রাষ্ট্রে শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য যে বিধি-ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে তা হবে ফলপ্রসু ও কার্যকর। তখন কোন শক্তিমান কোন দুর্বলের উপর অত্যাচার করতে পারবে না। এমনকি একাকী কোন মহিলা শত শত মাইল ভ্রমণ করলেও তার দিকে তাকাবার কেউ থাকবে না, তাকে উত্যক্ত করার কারো সাহস হবে না। যদি এ দ্বীনকে পরিপূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠিত করা না হয় তবে এমন নিরাপত্তা ও শান্তির সমাজ কায়েম সম্ভব নয়। 
  • আর দ্বীনকে পরিপূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠিত করার মানে হচ্ছে সামগ্রিক সমাজ ও রাষ্ট্র-ব্যবস্থায় ইসলামের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা। এ হাদীসে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বশক্তিমান আল্লাহর কসম খেয়ে বলছেন, সেই রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা একদিন অবশ্যই কায়েম হবে। এ হাদীসের এটাও দাবী যে, মুসলমানদেরকে এই লক্ষ্য অর্জনের জন্যই কাজ করে যেতে হবে।

জামায়াতবদ্ধ হয়ে দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য জিহাদের নির্দেশ

হযরত হারিস আশ'আরী রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, 'আমি তোমাদেরকে পাঁচটি কাজের হুকুম দান করছি:

১. জামায়াতবদ্ধ হওয়ার।

২. নেতার কথা শোনার।

৩. নেতার আনুগত্য করার।

৪. হিজরত করার।

৫. আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করার। (মিশকাত, মুসনাদে আহমদ এবং তিরমিযী)

  • ব্যাখ্যাঃ নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর উম্মতকে নিম্নলিখিত পাঁচটি বিষয়ের আদেশ দান করেছেন:

১. জামায়াতবদ্ধ হও এবং জামায়াতবদ্ধ হয়ে জীবন যাপন করো।

২. জামায়াতের যিনি দায়িত্বশীল তাঁর কথা মনোযোগ সহকারে শোন।

৩. নেতার প্রতি অনুগত থাকো।

৪. দ্বীনের কারণে যদি দেশ ত্যাগ করা প্রয়োজন হয়ে পড়ে তবু দ্বীনের দাবীকেই অগ্রাধিকার দাও। দ্বীনের পথে যে সব সম্পর্ক বাধা হয়ে দাঁড়ায় তা সবই ছিন্ন করে দ্বীনের কাজে অগ্রসর হও।

৫. আল্লাহর পথে জিহাদ করো। দ্বীনকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য সমস্ত শক্তি ও সামর্থ ব্যয় করো। নিজের জবান, মেধা, বিদ্যা-বুদ্ধি, দক্ষতা, যোগ্যতা, অর্থ-সম্পদ সবকিছু ঢেলে দিয়ে দ্বীনকে সমাজ ও রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করো। এমনকি আল্লাহ যদি তোমাকে বিশেষ কোন প্রতিভা যেমন লেখার, বলার, আঁকার দান করে থাকে তাকেও দ্বীন প্রতিষ্ঠার কাজে নিয়োজিত করো।

দলবদ্ধভাবে দ্বীনী কাজ করার ফজিলত

হযরত আমর বিন আবাসা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, “আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, 'কিয়ামতের দিন দয়াময় আল্লাহর ডান দিকে এমন কিছু ব্যক্তি থাকবেন যারা নবী নন, শহীদও নন। কিন্তু তাদের মুখের জ্যোতি যারা দেখবে তাদের চোখ ধাঁধিয়ে যাবে। তাদের স্থান ও মর্যাদা দেখে নবী এবং শহীদগণ সন্তুষ্ট হবেন।

লোকেরা জিজ্ঞেস করল, 'হে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, এসব লোক কারা হবে?'

তিনি বললেন, 'এরা হবে বিভিন্ন গোত্র ও বিভিন্ন অঞ্চলের লোক। এরা ইসলাম কবুল করার পর কোরআন শেখা ও শেখানোর জন্যে এবং আল্লাহকে স্মরণ করার জন্য একত্রিত হতো। 

খেজুর খাওয়ার সময় মানুষ যেমন সর্বোত্তম খেজুরটি বেছে নেয়, এরাও ঠিক সেভাবে সর্বোত্তম কথাটি বেছে নিয়ে প্রচার করতো।” (তারগীব, তাবরানী) অন্য এক বর্ণনায় এসেছে, 'এরা হলো সেই সব লোক, যারা আল্লাহর জন্যে একে অপরকে ভালবাসতো। এরা বিভিন্ন গোত্র ও এলাকার লোক হওয়ার পরও আল্লাহকে স্মরণ করার জন্যই তারা একত্রিত হতো।'

  • ব্যাখ্যাঃ এ হাদীসে সে সব লোকদের জন্যে এক বড় সুখবর দান করা হয়েছে যারা বিভিন্ন এলাকা, গ্রাম বা মহল্লায় বসবাস করার পরও কেবল দ্বীনের খাতিরে একত্রিত

যিকরুল্লাহ কাকে বলে?

হতো। তারা সকলে মিলেমিশে নামায পড়তো, কোরআন পড়তো এবং পড়াতো। তারা দ্বীনের দাওয়াত ও সৌন্দর্য মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্য একত্রিত হয়ে দলবদ্ধভাবে কাজ করতো। এ জন্য মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাদের ওপর খুশি হয়ে তাদেরকে এমন মর্যাদাপূর্ণ স্থানে জায়গা দিয়েছেন, যেখানে মূলত নবী ও শহীদগণ বসতেন। 

এক শিক্ষক যেমন আপন ছাত্রকে উন্নত স্থানে দেখে খুশি হন তেমনি তাঁরাও এ দৃশ্য দেখে খুশি হবেন। এ হাদীসে 'যিকরুল্লাহ' শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে যার অর্থ হলো আল্লাহকে স্মরণ করা। কোরআন তেলাওয়াত, নামায, অজিফা এবং দাওয়াতী কাজ সব কিছুই 'যিকর'-এর অন্তর্ভূক্ত। সর্বক্ষণ আল্লাহর স্মরণই হলো যিকরুল্লাহ।

সংঘবদ্ধ জামায়াতী জীবন যাপনের ফজিলত

হযরত যায়েদ বিন সাবিত রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, “আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এ কথা বলতে শুনেছি, 'তিনটি বিষয় এমন, যা বর্তমান থাকলে কোন মুসলমানের অন্তরে নেফাকের জন্ম হতে পারে না।

১. সে যা করবে তা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যে করবে।

২. নেতা ও জনতা একে অন্যের জন্য কল্যাণ কামনা করবে।

৩. সংগঠনে ওৎপ্রোতভাবে জড়িয়ে থেকে একে অন্যের জন্য দোয়া করবে। এই যে সামষ্টিক দোয়া ও কল্যাণ কামনা, এটাই তাদের রক্ষাকবচ হবে। (আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসাঈ ও ইবনে মাজাহ)

  • ব্যাখ্যাঃ সমষ্টিগত ব্যাপারে একে অন্যের জন্য কল্যাণ কামনা করার অর্থ হলো, কেউ কারো বিরুদ্ধে মনে ঘৃণা ও শত্রুতা রাখবে না, বরং একের জন্য অন্যের অন্তরে থাকবে মঙ্গল আকাঙ্খা। তারা সমস্ত কাজে পরস্পর সাহায্য সহযোগিতা করবে। 
  • আর কেউ যদি কোন কাজে ভুল করে বসে তবে নিভৃতে আন্তরিকতার সঙ্গে তার ভুলের প্রতি তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে। এ তিনটি গুণই নেফাকের পরিপন্থী। মোনাফিকরা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যে কোন কাজই করে না। তারা যে দলের সঙ্গে যুক্ত হয় তার নেতাদের বিরুদ্ধেই তারা উস্কানি সৃষ্টি করে। তারা বাহ্যত দলের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও প্রকৃতপক্ষে দলের প্রতি তাদের কোন আকর্ষণ থাকে না।

দলবদ্ধ হয়ে থাকার ও দলবদ্ধ জীবন যাপনের আর একটা সুবিধা আছে, যার প্রতি শেষের দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। তা হলো, দলের সকলে একে অন্যের জন্যে দোয়া করবে। সত্যের পথে দৃঢ় পায়ে দাঁড়িয়ে থাকার ব্যাপারে এই দোয়া খুবই কার্যকরী হয়। সামষ্টিক দেয়ার ফলে পরস্পরের মধ্যে সহানুভূতি ও সহমর্মিতা জন্ম লাভ করে। 

মহান আল্লাহতায়ালাও সামষ্টিক দোয়ার বরকতে দলের লোকদেরকে নানা অকল্যাণ থেকে রক্ষা করেন। শয়তান সংগঠিত মানুষকে সহজে বিভ্রান্ত করতে পারে না। যখনি কারো মধ্যে গাফলতি দেখা দেয়, দলের অন্যান্যরা তাকে সজাগ ও সচেতন করে তোলে। এভাবেই সংগঠিত জনশক্তি অকল্যাণ থেকে রক্ষা পায় এবং কল্যাণের পথে ধাবিত হয়। জামাতবদ্ধ জীবন যাপনকারীদের বাস্তব অভিজ্ঞতাও এ কথারই সাক্ষ্য বহন করে।

নেতার দায়িত্ব

হযরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন, “তিনি বলেছেন, 'যে ব্যক্তি মুসলমানদের সমষ্টিগত ব্যাপারের দায়িত্বশীল হবে (অর্থাৎ দলনেতা, খলীফা বা আমীর), যতক্ষণ পর্যন্ত সে সকলের প্রয়োজন পূরণ না করবে ততক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ তার উদ্দেশ্য পূরণ করবেন না। (সব লোকের সমস্ত প্রয়োজন পূরণের চিন্তা সে তখন করবে, যখন সে তার নেতৃত্বাধীন লোকদের প্রতি দয়াশীল হবে, তার অন্তরে তাদের জন্য ভালবাসা থাকবে)। (তিরমিযী)

নেতৃত্বাধীন ব্যক্তিদের দায়িত্ব

হযরত উবাদা বিন সামিত রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, “আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এ প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, 'অসচ্ছল অবস্থায় হোক বা সচ্ছল অবস্থায়, খুশীর সময়ে হোক বা অসন্তুষ্টির সময়েও হোক, 

প্রত্যেক অবস্থায় আমরা আল্লাহ্ এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এবং যারা নেতা নির্দিষ্ট হন তাঁদের সকলের কথা শুনবো ও আনুগত্য করবো। অন্যকে আমাদের অপেক্ষা অগ্রাধিকার দান করা হলেও আমরা নেতার কথা মেনে চলবো।'

আমরা তাঁর কাছে এ প্রতিজ্ঞাও করেছিলাম যে, যারা আমীর হবেন তাঁদের কাছ থেকে তাদের ক্ষমতা ও পদ কেড়ে নিতে চেষ্টা করবো না। কিন্তু যদি নেতা প্রকাশ্য কুফরী করেন তবে সে কথা স্বতন্ত্র। কেননা সে স্থলে তাঁর কথা মান্য না করার যুক্তি আল্লাহর পক্ষ থেকে আমাদের কাছে বর্তমান।'

আমরা তাঁর কাছে এ প্রতিজ্ঞাও করেছিলাম, 'যেখানেই থাকি না কেন সত্য ও ন্যায় কথা বলবো। আল্লাহর ব্যাপারে নিন্দাকারীর কোন নিন্দাকে ভয় করবো না। (তারগীব ও তারহীব, বোখারী ও মুসলিম)

  • ব্যাখ্যা: হাদীসে 'বাইয়াত' শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে যার অর্থ হলো প্রতিজ্ঞা করা। তিনি সকলের কাছ থেকে যে প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করেন তাহলো, সমষ্টিগত ও সামাজিক ব্যাপারের দায়িত্বশীল নেতার আনুগত্য সর্ব অবস্থায় করতে হবে। তাঁর নির্দেশ পছন্দ হোক বা না হোক, আনুগত্য বর্জন করা যাবে না। আর শাসন ক্ষমতার মধ্যে সংঘাত সৃষ্টি করা যাবে না। 

তবে নেতা যদি কোন স্পষ্ট গুনাহের আদেশ দেন বা স্পষ্ট কুফরী করেন তবে তাঁর কথা মানা যবে না। তখন তাকে নেতার আসন সরিয়ে দিতে হবে। তবে এক্ষেত্রেও শর্ত থাকবে, তাকে হটানোর ফলে অধিকতর খারাব অবস্থা সৃষ্টি হওয়ার আশংকা যেন না থাকে।

দাওয়াত তাবলীগের পদ্ধতি

হযরত মুয়াজ রাদিয়াল্লাহু আনহু ও হযরত আবু মূসা আশ'আরী রাদিয়াল্লাহু আনহুকে ইয়েমেন পাঠানোর সময় নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “তোমরা দু'জন দ্বীনকে মানুষের জন্যে সহজ করে দেবে, কঠিন করে দেবে না। মানুষকে দ্বীনের কাছে নিয়ে আসবে। তারা দ্বীনের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে দ্বীন থেকে দূরে সরে যেতে পারে এমন কিছু করবে না।” (জামউল ফাওয়াদ)

  • ব্যাখ্যা: এর অর্থ হলো, মানুষের কাছে দ্বীনকে এমনভাবে উপস্থাপিত করবে, যেন তারা অনুভব করে, এ রাস্তা সহজ সরল। এর উপর চলা তাদের সাধ্যের মধ্যে। এমনভাবে তাদের সামনে কথা বলা ঠিক নয়, যে কথা শুনলে তাদের সাহস ভেঙ্গে যায়।

পোস্ট ট্যাগঃ

দ্বীনি ইলম শিক্ষার গুরুত্ব
দ্বীনি শিক্ষার গুরুত্ব
দ্বীনি শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা
ইলমে দ্বীন শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা
দ্বীনি শিক্ষার গুরুত্ব ও ফজিলত
দ্বীনি এলেম শিক্ষার গুরুত্ব
ইলমে দ্বীন শিক্ষার গুরুত্ব
ইলম শিক্ষার গুরুত্ব ও ফজিলত
ধর্মীয় শিক্ষার গুরুত্ব ও ফজিলত

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url