জান্নাতি হুরদের সাথে কি কি করা যাবে

জান্নাতি হুরদের সাথে কি কি করা যাবে

জান্নাতি হুরদের সাথে কি কি করা যাবে

একজন জান্নাতি যখন জান্নাত লাভ করবে তখন মহান আল্লাহ জান্নাতের অসীম নেয়ামতের মধ্যে জান্নাতি হুর দান করবেন। জান্নাতি হুরদের সাথে কি কি করা যাবে আর কি করা যাবেনা তার কোনো সীমা নেই।

জান্নাতিগণ হুরদের সাথে সকল কিছু করতে পারবেন

আপনি যেমন আপনার স্ত্রীকে নিয়ে কোথাও ঘুরতে যান, খেতে যান, আমোদ প্রমোদ করেন, সহবাস করেন, যেকোনোভাবে জৈবিক চাহিদা মেটাতে পারেন ঠিক তেমনি ভাবে জান্নাতিগণ হুরদের সাথে সকল কিছু করতে পারবেন যা বলে শেষ করার মতো নয়

জান্নাতি হুরদের সাথে আশা আকাংখা পূরণ, আনন্দ হাসি আড্ডা থেকে যেকোনো কিছুই করা যাবে নিঃসন্দেহে। আপনার যা মন চাইবে আপনি তাই করতে পারবেন।

এবার আমরা জানবো জান্নাত লাভের দোয়া বা আমল এবং জান্নাতের নেয়ামত সমূহের বর্ণনাসমূহ পুরো পোস্টটি আপনারা মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

জান্নাত লাভের দোয়া

আজকে আমরা জানবো মহা সুখ ভোগের জায়গা জান্নাত কিভাবে লাভ করা যায় তার দোয়া। জান্নাত লাভের দোয়া আল্লাহর নিকট জান্নাত চাওয়ার কতিপয় দোয়া নিম্নরূপ: আরবী দোয়ার বাংলা অর্থ সমূহ দেওয়া হলো।

আমরা তোমার নিকট তোমার রহমতের মাধ্যমসমূহ

অর্থ: “হে আল্লাহ! আমরা তোমার নিকট তোমার রহমতের মাধ্যমসমূহ এবং তোমার ক্ষমার উপাদানসমূহ কামনা করছি, আরো কামনা করছি প্রত্যেক নেকীর অংশ। হে আল্লাহ! আমরা তোমার নিকট জান্নাত লাভের মাধ্যমে সফলতা কামনা করছি এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি চাচ্ছি।”

আমাকে জান্নাতের নিকটবর্তী করবে

অর্থ: হে আল্লাহ আমি তোমার নিকট সর্বপ্রকার ভাল কামনা করছি, তা তাড়াতাড়ি হোক বা দেরী করে হোক, যা আমি জানি বা জানি না, আর তোমার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি সর্বপ্রকার অকল্যাণ থেকে, তা তাড়াতাড়ি হোক বা দেরী করে হোক, যা আমি জানি অথবা জানি না, হে আল্লাহ আমি তোমার নিকট প্রত্যেক ভাল কামনা করছি যা তোমার নিকট তোমার বান্দা এবং নবী মুহাম্মদ (সাঃ) কামনা করেছে।

আর প্রত্যেক ঐ অকল্যাণ থেকে আশ্রয় চাচ্ছি যা থেকে তোমার বান্দা এবং নবী মুহাম্মদ (সাঃ) আশ্রয় কামনা করেছে। হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট জান্নাত চাচ্ছি এবং এমন কথা ও কাজের সুযোগ কামনা করছি যা আমাকে জান্নাতের নিকটবর্তী করবে, হে আল্লাহপাক! আমি তোমার কাছে আশ্রয় চাই দোযখ হতে ও এমন কথা, কাজ হতে যেগুলো তাহার নিকটবর্তী করে দেই। হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট আবেদন করছি তুমি আমাকে যে ফায়সালা করেছো তা যেন আমার জন্য কল্যাণকর হয়। (ইবনে মাজাহ ২/৩৮৪৬)

হে আল্লাহ! তুমি আমাদেরকে এতটা ভয় দান করো

অর্থ: “হে আল্লাহ! তুমি আমাদেরকে এতটা ভয় দান করো যা আমাদের ও আমাদের পাপের মাঝে আড়াল সৃষ্টি করবে। আর আমাদেরকে এতটুকু আনুগত্য করার তাওফীক দান করো যা আমাদেরকে তোমার জান্নাতে পৌঁছাবে, আর এতটা একীন দান করো যা পৃথিবীর মুসিবতসমূহ সহ্য করা আমাদের জন্য সহজ করে দেয়।

হে আল্লাহ! তুমি আমাদেরকে যতদিন জীবিত রাখবে ততদিন তুমি আমাদের কান, চোখ, ও অন্যান্য শক্তি দ্বারা উপকৃত হওয়ার তাওফীক দান করো। আর যে ব্যক্তি আমাদের ওপর যুলুম করে তার নিকট থেকে তুমি প্রতিশোধ নাও। আর দুশমনের বিরুদ্ধে তুমি আমাদেরকে সাহায্য করো।

দ্বীনের ব্যাপারে আমাদের ওপর মুসিবত চাপিয়ে দিওনা। দুনিয়াকে আমাদের জীবনের বড় উদ্দেশ্য করো না। আর না দুনিয়াকে আমাদের জ্ঞানের লক্ষ্য উদ্দেশ্যে পরিণত করিও। আর এমন ব্যক্তিকে আমাদের ওপর চাপিয়ে দিও না যে আমাদের ওপর অনুগ্রহ করবে না। (তিরমিযী) ৫/৩৫০২)

আমি তোমার নিকট দুআ করছি যে

অর্থ: “হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট দুআ করছি যে, তুমি আমার স্মরণকে উচ্চ করো এবং আমার বোঝা হালকা করো। আমার আমলসমূহকে সংশোধন করো। আমার আত্মাকে পবিত্র করো। আমার লজ্জাস্থানকে সংরক্ষণ করো। আমার অন্তরকে আলোকিত করো। আমার পাপসমূহ ক্ষমা করো। আর আমি তোমার নিকট জান্নাতে উচ্চ মর্যাদা কামনা করছি।”

তোমার নিকট জান্নাত কামনা করছি

অর্থা; “হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট জান্নাত কামনা করছি এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি চাচ্ছি।” (একথাটি তিনবার বলতে হবে)

শুধু আল্লাহর দয়া অনুগ্রহেই জান্নাতে প্রবেশ সম্ভব:

অর্থ: “আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: নবী (সাঃ) বলেছেন: কোনো ব্যক্তি তার আমলের বিনিময়ে জান্নাতে যেতে পারবে না। জিজ্ঞেস করা হলো ইয়া রাসূলুল্লাহ! আপনি? তিনি বললেন: হ্যাঁ আমিও। তবে আমার প্রভু আমাকে স্বীয় রহমত দ্বারা ঢেকে নিবেন। (মুসলিম ৪/২৮১৬)

তিনবার জান্নাত লাভের জন্য দুয়া করে

যে ব্যক্তি আল্লাহর নিকট তিনবার জান্নাত লাভের জন্য দুয়া করে তার জন্য জান্নাত সুপারিশ করে:

অর্থ: “আনাস বিন মালেক (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন: যে ব্যক্তি তিন বার আল্লাহর নিকট জান্নাত লাভের জন্য দুয়া করে তখন জান্নাত তার জন্য বলে হে আল্লাহ! তুমি তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাও। আর যে ব্যক্তি তিনবার আল্লাহর নিকট জাহান্নাম থেকে মুক্তি কামনা করে তার ব্যাপারে জাহান্নাম বলবে হে আল্লাহ তাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দাও ।” (তিরমিযী ৪/২৫৭২)

আল্লাহর পথে হিজরতকারী ফকীর মিসকীনরা জান্নাতে

আল্লাহর পথে হিজরতকারী ফকীর মিসকীনরা ধনীদের চাইতে পাঁচশত বছর পূর্বে জান্নাতে যাবে:

অর্থ: “আবু সাঈদ (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন: গরীব মুহাজিররা (হিজরতকারী) ধনীদের চেয়ে পাঁচশত বছর পূর্বে জান্নাত যাবে।” (তিরমিযী ৪/২৩৫১)

জান্নাত জাহান্নামে জায়গা থাকে

মাসআলা-: প্রত্যেক মানুষের জন্য জান্নাত ও জাহান্নামে জায়গা থাকে কিন্তু যখন একজন লোক জাহান্নামে চলে যায় তখন জান্নাতে তার স্থান টুকু জান্নাতীদেরকে দিয়ে দেয়া হয়:

সুপারিশে জাহান্নাম থেকে মুক্তি

মাসআলা-: নবী সা্ঃ-এর সুপারিশে জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেয়ে জান্নাতে প্রবেশকারীকে জান্নাতীরা ‘জাহান্নামী' বলে ডাকবে:

অর্থ: “ইমরান বিন হুসাইন (রা) থেকে বর্ণিত তিনি নবী সাঃ থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন: কিছু লোক মুহাম্মাদ সাঃ-এর সুপারিশ ক্রমে জাহান্নাম থেকে বের হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করবে, লোকেরা (তখনো) তাদেরকে ‘জাহান্নামী' বলে ডাকবে।” (আবু দাউদ ৪/৪৭৪০)

নোটঃ তাদেরকে আঘাত করার জন্য ‘জাহান্নামী' বলা হবে না, বরং তাদের প্রতি আল্লাহর দয়া ও অনুগ্রহের কথা স্মরণ করানো জন্য তাদেরকে এভাবে ডাকা হবে যাতে করে তারা বেশি বেশি করে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।

জান্নাতী ব্যক্তির রুহ কিয়ামতের পূর্বে জান্নাতে পৌঁছে যায়

অর্থ: “আবদুর রহমান বিন কা'ব আনসারী (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: তার পিতা রাসূলুল্লাহ সাঃ থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন তিনি বলেন: মু'মিন ব্যক্তির রূহ মৃত্যুর পর জান্নাতের বৃক্ষসমূহে উড়ে বেড়ায়। ঐ দিন পর্যন্ত যে দিন মানুষের পুনরুত্থান হবে সেদিন তা তাদের শরীরে ফেরত পাঠানো হবে।” (ইবনে মাজাহ ২/৪২৭১)

মু'মিনরা সর্বদা আল্লাহর রহমতের আশাবাদী এবং তাঁর আযাবের ভয়ে ভিত থাকতে হবে

অর্থ: “আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন: যদি কাফির জানত যে আল্লাহর দয়া কত বড় তাহলে সে জান্নাত থেকে নিরাশ হতো না। আর যদি মু'মিন জানতো যে আল্লাহর শাস্তি কত কঠিন তাহলে সে জাহান্নাম থেকে নির্ভয় হত না।” (বুখারী ৮/৬৪৬৯)

অর্থ: আমার আল্লাহর কসম! আমার ভয়ও হচ্ছে আবার আল্লাহর রহমতেরও আশা করছি। রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন: এ মুহূর্তে যদি কোনো অন্তরে ভয় ও আশার সংমিশ্রণ ঘটে তাহলে আল্লাহ তার কামনা অনুযায়ী বান্দার প্রতি দয়া ও অনুগ্রহ করেন। আর তার ভয় অনুযায়ী তাকে হেফাজত ও নিরাপত্তা দেন।” (তিরমিযী ৩/৯৮৩)

মুশরিকদের অপ্রাপ্ত বয়স্ক বাচ্চাদের

মাসআলা- মৃত্যুবরণকারী মুশরিকদের অপ্রাপ্ত বয়স্ক বাচ্চাদের ব্যাপারে আল্লাহই ভাল জানেন

মাসআলা-: মৃত্যুবরণকারী মুসলমানদের অপ্রাপ্ত বয়স্ক বাচ্চাদেরকে জান্নাতে ইবরাহিম ও সারা (আ) লালন-পালন করবেন :

অর্থ: “আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন: মুসলমানদের মৃত্যুবরণকারী অপ্রাপ্ত বয়স্ক বাচ্চাদেরকে জান্নাতের একটি পাহাড়ে ইবরাহিম ও সারা (আ) লালন-পালন করতে থাকবেন এর পর কিয়ামতের দিন তাদেরকে তাদের পিতা-মাতার নিকট হস্তাস্তর করবে।” (ইবনে আসাকের)

জান্নাত তার নিআমত সমূহ আল্লাহর দয়া অনুগ্রহের নিদর্শন

জাহান্নাম তার কষ্ট আল্লাহর শাস্তির নিদর্শন

অর্থ: “আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি নবী সাঃ থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেছেন: জান্নাত ও জাহান্নাম পরস্পরে আলোচনা করলো যে, জাহান্নাম বললো: আমার মাঝে অহংকারী ও অত্যাচারীরা প্রবেশ করবে, জান্নাত বললো: আমার মাঝে শুধু দুর্বল ও অক্ষম লোকেরাই আসবে।

তখন আল্লাহ জান্নাতকে বললেন: তুমি আমার রহমত, আমি আমার বান্দাদের মধ্য থেকে যাকে খুশি তাকে তোমার মাধ্যমে দয়া করবো। আর জাহান্নামকে বললেন: তুমি আমার শাস্তি আমি আমার বান্দাদের মাঝে যাকে খুশি তাকে তোমার মাধ্যমে শাস্তি দিব এবং তুমি ভরপুর হয়ে যাবে।

রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন: জাহান্নাম তো মানুষের দ্বারা ভরপুর হবে না। তবে আল্লাহ তার মধ্যে স্বীয় পা প্রবেশ করাবেন, তখন সে বলবে যথেষ্ট হয়েছে, যথেষ্ট হয়েছে, তখন তা ভরপুর হয়ে যাবে। তার এক অংশ আরেক অংশের সাথে একাকার হয়ে যাবে। (মুসলিম ৪/২৮৪৬)

জান্নাতে প্রবেশের পূর্বে প্রত্যেককে একে অপরের অধিকার আদায় করতে হবে

অর্থ: “আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন: যখন ঈমানদাররা জাহান্নামের ওপর বাধা পুলসিরাত অতিক্রম করে যাবে তখন জান্নাত এবং জাহান্নামের মাঝে এক পুলের ওপর তাদেরকে (এভাবে) যখন সমস্ত ঈমানদাররা পাক পবিত্র হয়ে যাবে, তখন তাদেরকে জান্নাতে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে। ঐ সত্তার কসম যার হাতে আমার প্রাণ! প্রত্যেক জান্নাতী জান্নাতে তার ঠিকানাকে পৃথিবীতে তার ঠিকানার চেয়ে বেশি চিনবে।” (বুখারী ৩/২৪৪০)

মৃত্যুকে যবাই করার দৃশ্য

অর্থ: “আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন: যখন আল্লাহ জান্নাতীদেরকে জান্নাতে এবং জাহান্নামীদেরকে জাহান্নামে প্রবেশ করাবেন, তখন মৃত্যুকে টেনে আনা হবে এবং একটি দেয়ালের ওপর রাখা হবে, যা জান্নাত ও জাহান্নামীদের মাঝে থাকবে।

অতপর বলা হবে হে জান্নাতবাসী! তারা ভয়ে ভিত হয়ে তাকাবে, অতপর বলা হবে হে জাহান্নাম বাসীরা! তারা আনন্দিত হয়ে তাকাবে। তারা সুপারিশের আশা করবে, এরপর জান্নাত ও জাহান্নামের অধিবাসীদেরকে সম্বোধন করে বলা হবে, তোমরা কি একে চিন? জান্নাত ও জাহান্নামের অধিবাসীরা বলবে হ্যাঁ আমরা চিনি।

এ হলো মৃত্যু যা পৃথিবীতে আমাদের ওপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল, তখন তাকে দেয়ালে রেখে জবাই করে দেয়া হবে, এরপর বলা হবে হে জান্নাতবাসীরা! আজকের পর আর মৃত্যু নেই চিরস্থায়ী ভাবে জান্নাতে থাকবে। আর হে জাহান্নামীরা! আজকের পর আর মৃত্যু নেই চিরস্থায়ীভাবে জাহান্নামে থাক।” (তিরমিযী ৪/২৫৫৭)

যে ব্যক্তির অন্তরে বিন্দু পরিমাণে ঈমান থাকবে

যে ব্যক্তির অন্তরে বিন্দু পরিমাণে ঈমান থাকবে পরিশেষে আল্লাহ স্বীয় দয়া ও অনুগ্রহে তাকেও জাহান্নাম থেকে বের করে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন:

অর্থ: “আনাস বিন মালেক (রা) থেকে বর্ণিত, নবী সাঃ বলেছে, আর তার অন্তরে বিন্দু পরিমাণ ঈমান আছে সেও জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাবে। (এবং জান্নাতে প্রবেশ করবে) আবার যে ব্যক্তি লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলেছে আর তার অন্তরে বিন্দু পরিমাণ ঈমান আছে সেও জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাবে।” (মুসলিম ১/১৯৩)

পোস্ট ট্যাগঃ

জান্নাতি হুরদের সাথে কি কি করা যাবে
হুর দেখতে কেমন
হুরে জান্নাত
জান্নাতে হুরদের গান
জান্নাতি হুর
নারীরা জান্নাতে কি পাবে
হুরের বর্ননা

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url