শয়তান থেকে বাঁচার দোয়া

শয়তান থেকে বাঁচার দোয়া

শয়তান থেকে বাঁচার দোয়া মৃত্যুকালে

যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকালে, দুপুর এবং সন্ধ্যা বেলায় এই দোয়াটি ৩ বার পাঠ করবে তাকে কোনো কিছু ক্ষতি করতে পারবে না-তিরমিজি: ৩৩৮৮

দোয়াটি হলো “বিছমিল্লা হিল্লাযি লা ইয়াদুররু মাআ’ছমিহি শাইয়্যুন ফিল আরদ্বি ওয়ালা ফিছছামাঈ ওয়া হুওয়াছ ছামিউল আ’লিম।”

অর্থাৎ, ‘আল্লাহর নামে শুরু করছি; যাঁহার নামের সাথে আসমান এবং জমিনে কোনো কিছুই ক্ষতি করতে পারে না। আর তিনি সর্বশ্রোতা, মহাজ্ঞানী।’ এছাড়া অনেক অগণিত ফজিলতপূর্ণ আমলের কথা হাদীসে বলা হয়েছে। আল্লাহতায়ালা আমাদের ছোট বড় সব আমল করার তওফিক্ব দান করেন।

মৃত্যুকালে শয়তানের ধোঁকা থেকে বাচার উপায়

মৃত্যুকালে শয়তানের ধোঁকা থেকে নিরাপদ থাকা এবং দ্বীনের উপর ইস্তিকামাত থাকার জন্য রাসূলুল্লাহ্ সাঃ এর হাদীস ও কুর'আনের আয়াত থেকে কিছু উপায় জানা যায়। যেমন:

প্রথম উপায়: ঈমান গ্রহণের উপর অটল থাকা।

দ্বিতীয় উপায়: ঈমানের উপর ইস্তিকামাত থাকা। এ দু'টো উপায় উপরে আলোচিত আয়াত দ্বারা প্রমাণিত।

তৃতীয় উপায়: গোসল ফরয অবস্থায় গোসল করতে দেরি হলে কমপক্ষে সাথে সাথে অযু করে নেয়া। তাও সম্ভব না হলে তায়াম্মুম করে নিবে।

চতুর্থ উপায়: স্বীয় আত্মা, পোশাক ও ঘরকে এরকম বস্তু থেকে পবিত্র রাখা, যার কারণে রহমতের ফেরেশতা ঘরে ঢুকে না।

যেমন: ফটো, কুকুর, গোসল ফরযকারী মানুষ, ঐ সকল অলংকার যাতে আওয়াজ হয় ইত্যাদি।

পিতা মাতার সাথে সদ্ব্যবহার

পঞ্চম উপায়: পিতা-মাতার কথা মান্য করা। হাদীসে আছে, এক ব্যক্তি মহানবী সাঃ এর খিদমতে হাযির হয় আরজ করল: হে আল্লাহর রাসূল সা. আমাদের এলাকায় একটি ছেলে মৃত্যুমুখে পতিত, তাকে কালেমা পড়তে বলা হলে সে পড়তে পারে না।

রাসূলুল্লাহ্ সা. বললেন: সে পূর্ব থেকেই কি তা বড়তে অভ্যস্ত নয়? লোকেরা আরজ করল: হে আল্লাহর নবী! সে আগে সব সময় কালেমা পড়তে পারতো কিন্তু এখন পারছে না। তখন ছেলেটির পাশে রাসূলুল্লাহ্ সা. নিজেই তাশরীফ আনলেন এবং তাকে তালকীন করলেন।

কিন্তু সে বলল: কালেমা পড়ার মত কোন শক্তি আমার নেই। মহানবী সা. বললেন: কেন? সে বলল: আমি আমার মায়ের কথা শুনতাম না। এরপর রাসূলুল্লাহ্ সা. তার মায়ের নিকট থেকে তার ভুল-ত্রুটি ক্ষমা করালেন, তারপর তার মুখ খুলে গেল এবং কালেমা তাইয়্যেবা পড়ে দুনিয়া থেকে চির বিদায় নিয়ে চলে গেলেন।

ষষ্ঠ উপায়: মৃত্যুর সময় অন্যান্য লোকদের মৃত্যু শয্যায় শায়িত ব্যক্তিকে কালেমা তালকীন করানো।

মৃত্যুর পূর্বে মাটি কবরের ঘোষণা

আনাস রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: যমীন প্রতিদিন আদম সন্তানকে বলে: হে আদম সন্তান! তুমি আমার পৃষ্ঠের উপর স্বাধীনভাবে ঘুরা ফেরা করছ। তোমার মৃত্যুর পর যখন সবাই তোমাকে আমার উদরের সংকীর্ণ অন্ধকারময় স্থানে রেখে চলে যাবে, তখন তোমার কী দুদর্শা হবে? তখন তোমার আগের সে স্বাধীনতা আর থাকবে না।

আমি তোমার মৃত্তিকা-শয়নগৃহ এত সংকীর্ণ ও অন্ধকারাচ্ছন্ন করে দিব যে, একদিক ফিরলে আর অন্য দিকে ফিরার ইচ্ছা থাকবে না। ভয়ে জড়সড় হয়ে কাঁদতে থাকবে।

যমীন প্রতিদিন আদম সন্তানকে বলে

যমীন আরো বলে: হে মানুষ! তুমি আমার পিঠের উপরে থেকে অন্যায়ভাবে ধন- সম্পত্তি, টাকা-পয়সা উপার্জন করে সে হারাম খাদ্য খেয়ে তোমার দেহ মোটা- তাজা করছ। জেনে রেখ, মৃত্যুর পর তোমার এ প্রিয় মোটা-তাজা সুখের শরীর কোন রকমেই মোটা-তাজা থাকবে না কীট-পতঙ্গের আহার্যে পরিণত হবে। সবই কীট-পতঙ্গে খেয়ে ধ্বংস করে ফেলবে।

মৃত্যুর পর কবরে তার প্রকৃত শাস্তি পাবে

মাটি আরো বলে: হে মানব! আমার পিঠের উপর বসবাস করে কত যে পাপের কাজ করেছ এবং অপরকেও পাপের কাজে প্রেরণা দান করেছ। মৃত্যুর পর কবরে তার প্রকৃত শাস্তি পাবে। 

এমনি করে আমার পিঠে হাসি-তামাশা, আমোদ-প্রমোদ ও উল্লাস করে বেড়াচ্ছ, অযথা সময় নষ্ট করছ, এর প্রতিদান একদিন অন্ধকারময় কবরে অনুভব করতে হবে। আজ আমার পিঠের উপরে থেকে আনন্দে দিন কাটাচ্ছ। মৃত্যুর পর আমার মাঝে এসে এর প্রতিফল হাড়ে হাড়ে ভোগ করবে।

এভাবে মাটি আরো বলে: হে আদম সন্তান! আমার এ উন্মুক্ত পিঠে আলোকময় খোলা ময়দানে বিচরণ করছ, কিন্তু মৃত্যুর পর এমন সংকীর্ণ অন্ধকারময় স্থানে বাস করতে হবে যেখানে মুক্ত বায়ু বইবে না। আলো বলতে কিছুই পাওয়া যাবে না, সেথায় তুমি কিছুই দেখতে পাবে না।

তুমি নশ্বর পৃথিবীতে বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন নিয়ে মহানন্দে প্রশস্ত মাঠে ও খোলা বাতাসে ভ্রমণ করছ, কিন্তু মৃত্যুর পর সাথীহীন কবরে একা বসবাস করতে হবে। বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন বলতে সেখানে কেউ থাকবে না।

মুমূর্ষু ব্যক্তির জন্য ফেরেশতাদের কথোপকথন

হাদীসের নির্ভরযোগ্য সূত্রের মাধ্যমে জানা যায় যে, যখন মানুষের অন্তিমকাল হাজির হয় এবং রূহ বের হওয়ার সময় ঘনিয়ে আসে, তখন চারজন ফেরেশতা তার কাছে হাজির হয়।

সর্বপ্রথম এক ফেরেশতা উপস্থিত হয়ে বলেন: আস্সালামূ আলাইকুম! হে অমুক! আমি তোমার আহার সংগ্রহের কাজে নিযুক্ত ছিলাম। কিন্তু এখন পৃথিবীর পূর্ব থেকে পশ্চিম প্রান্ত পর্যন্ত অন্বেষণ করেও তোমার জন্য এক দানা খাদ্য সংগ্রহ করতে পারলাম না। সুতরাং বুঝলাম, তোমার মৃত্যু ঘনিয়ে এসেছে, হয়তো এখনই তোমার মৃত্যু হতে পারে।

অতঃপর দ্বিতীয় ফেরেশতা এসে সালাম করে বলবেন: হে আল্লাহর বান্দাহ! আমি তোমার পানীয় সংগ্রহের জন্য নিয়োজিত ছিলাম কিন্তু এখন তোমার জন্য পৃথিবীর সর্বত্র ভ্রমণ করেও এক ফোঁটা পানি সংগ্রহ করতে পারলাম না। সুতরাং আমি বিদায় হলাম।

এরপর তৃতীয় ফেরেশতা এসে সালাম করে বলবেন: হে আল্লাহর বান্দা! আমি তোমার পদদ্বয়ের তত্ত্বাবধানে নিযুক্ত ছিলাম কিন্তু পৃথিবীর সর্বত্র খোঁজ করেও তোমার একটি মাত্র পদক্ষেপের স্থান পেলাম না। তাই আমি বিদায় নিচ্ছি।

চতুর্থ ফেরেশতা এসে সালাম করে বলবেন: হে আল্লাহর বান্দা! আমি তোমার শ্বাস- প্রশ্বাস চালু রাখার কাজে নিয়োজিত ছিলাম কিন্তু আজ পৃথিবীর এমন কোন স্থান খুঁজে পেলাম না যেখানে গিয়ে তুমি মাত্র এক পলকের জন্য শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করতে পার। সুতরাং আমি চলে যাচ্ছি।

মানুষের দুই কাধের ফেরেশতা

এরপর কিরামান-কাতিবীন ফেরেশতা এসে সালাম করে বলবেন: হে আল্লাহর বান্দা! আমরা তোমার পাপ-পূণ্য লেখার কাজে নিয়োজিত ছিলাম কিন্তু এখন দুনিয়ার সব স্থান খোঁজ করেও আর কোন পাপ-পূণ্য খুঁজে পেলাম না। সুতরাং আমরা চলে যাচ্ছি। 

এ বলে তাঁরা এক টুকরা কালো লিপি বের করে দিয়ে বলবেন: হে আল্লাহর বান্দাহ! এর দিকে লক্ষ্য কর। সে দিকে লক্ষ্য করার সাথে সাথে তার সর্বাঙ্গে ঘর্মস্রোত প্রবাহিত হবে এবং কেউ যেন ঐ লিপি পড়তে না পারে সে জন্য সে ডানে বামে বার বার দেখতে থাকবে। এরপর তারা চলে যাবেন।

মালাকুল মাউত দেখতে কেমন

তখনই মালাকুল মউত আজরাঈল . তার ডান পাশে রহমতের ফেরেশতা এবং বাম পাশে আযাবের ফেরেশতা নিয়ে হাজির হবেন। তাদের মধ্যে কেউ বা আত্মাকে খুব জোরে টানাটানি করবেন, আবার কেউ অতি শান্তির সাথে আত্মা বের করে নিবেন। কন্ঠ পর্যন্ত আত্মা পৌঁছলে স্বয়ং আজরাঈল আ. তা কবজ করেন।

মৃত্যুর সময় মুমিনের অবস্থা

হাদীসের এক বর্ণনায় এসেছে, রাসূলুল্লাহ্ সা. বলেছেন: যে সময় কোন লোকের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে পরলোক যাত্রা করার সময় নিকটবর্তী হয়ে থাকে, সে সময় আসমান হতে সূর্যের মত আলোকজ্জ্বল চেহারা বিশিষ্ট একদল ফেরেশতা বেহেশতী কাফন ও সুগন্ধি সাথে নিয়ে যমীনে অবতীর্ণ হয়ে মৃত্যুপথযাত্রীর দৃষ্টি সীমার মধ্যে উপবিষ্ট হয়ে অপেক্ষা করতে থাকে।

মালাকুল মউত তার মস্তকের পাশে বসে

অতঃপর মালাকুল মউত তার মস্তকের পাশে বসে বলতে থাকে, হে পবিত্র আত্মা! আল্লাহ্ তা'আলার রহমত ও সন্তুষ্টির জন্য অতি শীঘ্র বাইরে চলে আস। তখন ঐ ব্যক্তির আত্মা স্বেচ্ছায় বের হয়ে থাকে এবং তার মুখ হতে পানির ফোটা পড়তে থাকে। তারপর তারা ঐ ব্যক্তির আত্মাকে উক্ত বেহেশতী কাফনের ভিতরে লেপটিয়ে রাখেন।

আর তখন তা হতে বেহেশতী মেশকের সুঘ্রাণ বের হতে থাকে। তারপর ফেরেশতাগণ যখন আত্মাকে নিয়ে আসমানে গমন করতে থাকে, তখন আসমানের ফেরেশতাগণ বলতে থাকে: এত উৎকৃষ্ট সুবাস কোথা থেকে বের হচ্ছে।

এর উত্তরে ফেরেশতাগণ বলে: অমুকের পুত্র অমুকের রূহ হতে এ সুবাতাস বের হচ্ছে। তখন উক্ত ফেরোমন্ডলী তাকে উত্তম নামে সম্বোধন করে থাকে। যখন ফেরেশতাগণ আত্মা সহকারে প্রথম আকাশের শেষ সীমায় পৌঁছে যায়, তখনই সপ্তাকাশের সকল দরজাসূহ এর শুভাগমনে খুলে যায় এবং প্রতিটি আসমানের কতক ফেরেশতা তার সম্বর্ধনার উদ্দেশ্যে সামনে এগিয়ে যায়।

সপ্তম আসমানে আরোহন

এ প্রকারে সপ্তম আসমানে আরোহন করা মাত্রই আল্লাহ্ তা'আলার পক্ষ থেকে উচ্চঃস্বরে বলা হয়ে থাকে: হে ফেরেশতামন্ডলী! তার আমলনামা ইল্লিয়্যিন নামক স্থানে জমা রেখে দাও এবং উক্ত ব্যক্তির রূহকে তার দেহের সাথে মিলিয়ে দাও। 

যেহেতু তাকে মাটি হতেই সৃষ্টি করেছি এবং তাকে এ মাটিতেই ফিরিয়ে নেব এবং এ মাটি হতেই তাকে পুনরুত্থান করব। এ সম্পর্কে আল্লাহ্ তা'আলা বলেন:

“আমি তোমাদেরকে এ মাটি দিয়ে সৃষ্টি করেছি, দ্বিতীয়বার এ মাটির ভিতরেই তোমাকে ফিরে যেতে হবে এবং সর্বশেষ এ মাটির মধ্য থেকেই তোমাদেরকে পুনরুত্থান করিয়ে হাশরের ময়দানে হাযির করব।”

এরপর আল্লাহ্ তা'আলার আদেশ অনুযায়ী ফেরেশতাগণ উক্ত আত্মাকে কবরে অবস্থিত তার দেহের সাথে মিশে দেয়। তারপর মুনকার-নকীর ফেরেশতাদ্বয় তথায় আগমন করে মৃত ব্যক্তির নিকট জিজ্ঞেস করবে:

প্রতিপালক কে? আপনার নবী কে? এবং আপনার ধর্মের নাম কী?

হে আল্লাহর বান্দা! আপনি বলুন তো আপনার প্রতিপালক কে? আপনার নবী কে? এবং আপনার ধর্মের নাম কী? অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ সা. এর দিকে ইঙ্গিত করতঃ বলবে যে, হে আল্লাহর বান্দাহ এ মহাপুরুষ সম্পর্কে আপনার ধারণা কী? তখন মুমিন বান্দা সকল প্রশ্নের সঠিকভাবে উত্তর দিবে।

তখন আল্লাহ্ তা'আলা অতি নিকট হতে উচ্চঃস্বরে ইরশাদ করবেন: হে ফেরেশতাদ্বয়! আমার মু'মিন বান্দা সঠিক ও সত্য কথা বলেছে। 

সুতরাং তাকে বেহেশতী পোশাক পরিয়ে দাও এবং বেহেশতী বিছানা বিছিয়ে দাও, যাতে তার কবরের মধ্যে বেহেশতী সুগন্ধি আসতে পারে। আর তার চোখের দৃষ্টি সীমা পর্যন্ত তার কবরকে প্রশস্ত করে দাও।

আতা খোরাসানী রহ. বলেন: যে বান্দা যমীনের কোন জায়গায় সিজদা করে, সে জায়গা কিয়ামতের দিন তার পক্ষে সাক্ষ্য দিবে। ইব্‌ন আব্বাস রা. বলেন: কেউ তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন:

আসমান যমীন কাঁদে

‘তাদের জন্য আসমান ও যমীন কাঁদেনি, এ আয়াতের অর্থ কী? তিনি জবাব দিলেন: হ্যাঁ, আসমান যমীন কাঁদে, যত মাখলুক আছে সবার জন্যই। আসমানের দু'টি দরজা আছে। এক দরজা দিয়ে মানুষের রিযিক দেয়া হয়। আর অপর দরজা দিয়ে তার সৎকর্ম উপরে চলে যায়।

অতএব, মু'মিন যখন ইন্তেকাল করে, তখন তার জন্য নির্ধারিত আসমানের উভয় দরজা বন্ধ হয়ে যায় এবং তার জন্য ক্রন্দন করতে থাকে। এমনকি যে যমীনে সে নামায পড়ত সে যমীন তার নামাযের স্থান না দেখে এবং আল্লাহর যিকির শুনতে না পেয়ে তার জন্য কাঁদতে থাকে।

যেহেতু ফিরআউনের জাতির এমন কোন ভাল কাজ ছিল না, যা আসমানে যাবে, তাই এ দরজা তাদের জন্য কাঁদেনি। সূরা ত্বা-হা, ৫৫; বুখারী, আস-সহীহ

সংগৃহীতঃ মৃত্যুর পরে অনন্ত জীবন
লেখকঃ মুহাম্মদ ইকবাল কীলানী

পোস্ট ট্যাগঃ

নফস থেকে বাঁচার দোয়া
মানুষের ক্ষতি থেকে বাঁচার দোয়া
শয়তানের ওয়াসওয়াসা ও তার প্রতিকার
আল্লাহর হেফাজতে থাকার দোয়া
আউজুবিল্লাহিল আজিম
শয়তান বিষয়ে আয়াত
গুনাহ থেকে বাচার দোয়া
নামাজে শয়তানের ওয়াসওয়াসা

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url