জান্নাতুল মাওয়া নামের অর্থ কি

জান্নাতুল মাওয়া নামের অর্থ কি

জান্নাতুল মাওয়া নামের অর্থ কি

জান্নাতুল মাওয়া এই অতি সুন্দর নামটির অর্থ হলো আনন্দময়ী বাগী বা বেহেশতের বাগিনী। তাছাড়া জান্নাতুল মাওয়া এই অতি সুন্দর নামটির অন্য একটি প্রতিশব্দ হচ্ছে আনন্দময়বাগিনী, বেহেশতের নারী পবিত্রতম স্থান ইত্যাদি। জান্নাতুল মাওয়া নামটির আরবীয় অর্থ ভিন্ন হয়ে থাকে।

জান্নাতুল মাওয়া নামের অর্থ কি তা জানার পর আমরা জান্নাতের নেয়ামতসমূহ সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত জানতে হলে পুরো পোস্টটি আজকে ধৈর্য্য ধরে পড়েন।

জান্নাতের নেয়ামতসমূহ

অর্থ: আর মুত্তাকীদের জন্য অবশ্যই রয়েছে উত্তম নিবাস- চিরস্থায়ী জান্নাত, যার দরজাসমূহ থাকবে তাদের জন্য উন্মুক্ত। সেখানে তারা হেলান দিয়ে আসীন থাকবে, সেখানে তারা বহু ফলমূল ও পানীয় চাইবে। আর তাদের নিকটে থাকবে আনতনয়না সমবয়সীরা। হিসাব দিবস সম্পর্কে তোমাদেরকে এ ওয়াদাই দেয়া হয়েছিল। নিশ্চয় এটি আমার দেয়া রিযিক, যা নিঃশেষ হবার নয়। (সূরা সোয়াদ ৪৯-৫৪)

মাসআলা-৩০: জান্নাতীরা জান্নাতে তাদের সতী স্ত্রীদেরকে নিয়ে আনন্দময় জীবন যাপন করবে:

মাসআলা-৩১: জান্নাতে দম্পতীদের সামনে সোনার পাত্রে বিভিন্ন প্রকার খানা পরিবেশন করা হবে এবং সোনার পান পাত্রে বিভিন্ন প্রকার পানীয় পেশ করা হবে:

মাসআলা-৩২: জান্নাতে চক্ষু ও অন্তর জুড়ানোর মত সর্বপ্রকার ব্যবস্থাপনা থাকবে:

মাসআলা-৩৩: জান্নাতী লোকদের সম্মানের ও উৎসাহের জন্য বলা হবে যে, তোমাদের আমলের প্রতিদান স্বরূপ তোমাদেরকে এ নিআমত ভরপুর জান্নাত দান করা হলো:

সস্ত্রীক সানন্দে জান্নাতে প্রবেশ করো

অর্থ: তোমরা সস্ত্রীক সানন্দে জান্নাতে প্রবেশ করো। স্বর্ণখচিত থালা ও পানপাত্র নিয়ে তাদেরকে প্রদক্ষিণ করা হবে, সেখানে মন যা চায় আর যাতে চোখ তৃপ্ত হয় তা-ই থাকবে এবং সেখানে তোমরা হবে স্থায়ী। আর এটিই জান্নাত, নিজেদের আমলের ফলস্বরূপ তোমাদেরকে এর অধিকারী করা হয়েছে। সেখানে তোমাদের জন্য রয়েছে অনেক ফলমূল, যা থেকে তোমরা খাবে । (সূরা যুখরূফ ৪৩:৭০-৭৩)

মাসআলা-৩৪: জান্নাতে কোন প্রকার দুঃখ বেদনা, মুসিবত ও চিন্তা থাকবে না।

জান্নাতের পোশাকের রং

মাসআলা-৩৫: জান্নাতীদের পোশাক চিকন ও পুরু রেশমের তৈরী হবে।

মাসআলা-৩৬: সুন্দর ও আকর্ষণীয় চোখ সম্পন্ন নারীর সাথে তাদের মিলন হবে:

মাসআলা-৩৭: জান্নাতে মৃত্যু আসবে না বরং চিরস্থায়ী জীবন যাপন করবে।

মাসআলা-৩৮: সর্বপ্রথম জান্নাতে প্রবেশকারীরা জাহান্নামের আযাব থেকে মুক্ত থাকবে।

মাসআলা-৩৯: আল্লাহর দয়া ও অনুগ্রহ ব্যতীত জান্নাতে যাওয়া সম্ভব নয়।

মাসআলা-৪০: জান্নাতে প্রবেশ করাই মূল সফলতা ও কামিয়াবী।

জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করবেন

অর্থ: নিশ্চয় মুত্তাকীরা থাকবে নিরাপদ স্থানে, বাগ-বাগিচা ও ঝর্ণাধারার মধ্যে, তারা পরিধান করবে পাতলা ও পুরু রেশমী বস্ত্র এবং বসবে মুখোমুখী হয়ে। প্রথম মৃত্যুর পর সেখানে তারা আর মৃত্যু আস্বাদন করবে না। আর তিনি তাদেরকে জাহান্নামের আযাব থেকে রক্ষা করবেন। তোমার রবের অনুগ্রহস্বরূপ, এটাই তো মহা সাফল্য। (সূরা দুখান ৫১-৫৭)

জান্নাতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পানি

মাসআলা-৪১: জান্নাতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পানি, দুধ, মধু, মদ ইত্যাদির ঝর্ণা থাকবে যা থেকে জান্নাতীরা পান করবে:

মাসআলা-৪২: জান্নাতের ঝর্ণা এবং পানীয়সমূহের রং ও স্বাদ সর্বদা একই রকমের থাকবে:

মাসআলা-৪৩: জান্নাতীদেরকে আল্লাহ সমস্ত গুনাহ থেকে মুক্ত করে জান্নাতে দিবেন।

জান্নাতের নেয়ামতসমূহ

অর্থ: “মুত্তাকীদেরকে যে জান্নাতের ওয়াদা দেয়া হয়েছে তার দৃষ্টান্ত হলো, তাতে রয়েছে নির্মল পানির নহরসমূহ, দুধের ঝর্ণাধারা, যার স্বাদ পরিবর্তিত হয়নি, পানকারীদের জন্য সুস্বাদু সূরার নহরসমূহ এবং আছে পরিশোধিত মধুর ঝর্ণাধারা। তথায় তাদের জন্য থাকবে সব ধরনের ফলমূল আর তাদের রবের পক্ষ থেকে ক্ষমা।” (সূরা মুহাম্মদ ১৫)

জান্নাতে কি মা বাবার সাথে দেখা হবে

মাসআলা-৪৪: সু-সন্তানদেরকে তাদের আদর্শ বাপ-দাদার সাথে জান্নাতে একত্র করা হবে। যদি জান্নাতে তাদের পরস্পরের স্তরের মধ্যে কোন ব্যবধান থাকে তাহলে নিম্নস্তরের লোকদেরকে আল্লাহ স্বীয় দয়া ও অনুগ্রহের মাধ্যমে তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি করে উভয়কে উচ্চস্তরে মিলিত করবেন। যাতে জান্নাতে তারা সকলে একে অপরকে দেখে আনন্দ উপভোগ করতে পারে:

প্রত্যেক ব্যক্তি তার কৃতকর্মের জন্য দায়ী

অর্থ: আর যারা ঈমান আনে এবং তাদের সন্তান-সন্ততি ঈমানের সাথে তাদের অনুসরণ করে, আমরা তাদের সাথে তাদের সন্তানদের মিলন ঘটাব এবং তাদের কর্মের কোন অংশই কমাব না। প্রত্যেক ব্যক্তি তার কামাইয়ের ব্যাপারে দায়ী থাকবে। (সূরা তূর ২১)

মাসআলা-৪৫: জান্নাতীদেরকে সুস্বাদু ফলের সাথে তাদের রুচীসম্মত গোশত ও পরিবেশন করা হবে:

মাসআলা-৪৬: জান্নাতীরা খানা-পিনার সময় অন্তরঙ্গভাবে আলাপচারিতা করবে:

জান্নাতীদের খাদেম যেন তারা সংরক্ষিত মুক্তা

অর্থ: আর আমি তাদেরকে অতিরিক্ত দেব ফলমূল ও গোশত যা তারা কামনা করবে। তারা পরস্পরের মধ্যে পানপাত্র বিনিময় করবে; সেখানে থাকবে না কোন বেহুদা কথাবার্তা এবং কোন পাপকাজ। আর তাদের সেবায় চারপাশে ঘুরবে বালকদল; তারা যেন সুরক্ষিত মুক্তা। (সূরা তূর ২২-২৪)

হুরদের সর্দারনী

মাসআলা-৪৮: জান্নাতে আল্লাহর বিশেষ বান্দাদের জন্য দু'টি করে বাগান থাকবে, যা নিআমতের দিক থেকে সাধারণ মু'মিনদের বাগানের তুলনায় উত্তম হবে:

মাসআলা-৪৯: উভয় বাগানে দু'টি করে ঝর্ণা থাকবে, আরো থাকবে বিভিন্ন প্রকার সুস্বাদু ফল ও রেশমী আসনসমূহ:

মাসআলা-৫০: জান্নাতীদের স্ত্রীগণ যথেষ্ট লাজুক, পবিত্র, হিরা ও মুক্তার ন্যায় উজ্জ্বল ও সুন্দর হবে তারা শুধু তাদের স্বামীর সেবায় নিমগ্ন থাকবে:

জান্নাতীদের স্ত্রীগণকে নতুন করে সৃষ্টি করা হবে

মাসআলা-৫১: জান্নাতীদের স্ত্রীগণকে জান্নাতে প্রবেশের পূর্বে নতুন করে সৃষ্টি করা হবে। আর এরপর তাদেরকে আর কোন জ্বিন ও ইনসানের স্পর্শ তাদের শরীরে লাগেনি (একমাত্র তাদের জান্নাতী স্বামীই তাদেরকে উপভোগ করবে):

তোমার পালনকর্তার কোন অবদানকে অস্বীকার করবে

অর্থ: আর যে তার রবের সামনে দাঁড়াতে ভয় করে, তার জন্য থাকবে দু'টি জান্নাত। সুতরাং তোমাদের রবের কোন্ নিয়ামতকে তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে? উভয় উদ্যানই বহু ফলদার শাখাবিশিষ্ট। উভয়ের মধ্যে থাকবে দু'টি ঝর্ণাধারা যা প্রবাহিত হবে। 

সুতরাং তোমাদের রবের কোন নিয়ামতকে তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে? উভয়ের মধ্যে প্রত্যেক ফল থেকে থাকবে দু' প্রকারের। সুতরাং তোমাদের রবের কোন নিয়ামতকে তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে?

রেশমি কাপড়ের বিছানায় তারা হেলান দেয়া থাকবে

সেখানে পুরু রেশমের আস্তরবিশিষ্ট বিছানায় তারা হেলান দেয়া অবস্থায় থাকবে এবং দু' জান্নাতের ফল-ফলাদি থাকবে নিকটবর্তী। সুতরাং তোমাদের রবের কোন নিয়ামতকে তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে? সেখানে থাকবে স্বামীর প্রতি দৃষ্টি সীমিতকারী মহিলাগণ, যাদেরকে ইতঃপূর্বে স্পর্শ করেনি কোন মানুষ আর না কোন জ্বিন।

সুতরাং তোমাদের রবের কোন নিয়ামতকে তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে? তারা যেন হীরা ও প্রবাল। সুতরাং তোমাদের রবের কোন্ নিয়ামতকে তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে? (সূরা রাহমান ৫৫:৪৬-৫৯)

মাসআলা-৫২: সাধারণ মু'মিনদেরকেও দু'টি করে বাগান দেয়া হবে তবে তা বিশেষ বান্দাদের বাগানের তুলনায় কম মর্যাদাপূর্ণ হবে:

মাসআলা-৫৩: তাদের বাগান সমূহের ঝর্ণা ও সুস্বাদু ফল-মূল থাকবে:

জান্নাতি হুরদের সাথে কি কি করা যাবে

মাসআলা-৫৪: সতী, পবিত্র, সুন্দর, আকর্ষণীয় চোখবিশিষ্ট, হুরেরা তাদের স্ত্রী হবে, যাদেরকে ইতিপূর্বে আর কেউ স্পর্শ করে নিঃ

জান্নাত রয়েছে এই ঝর্ণাধারায়

অর্থ: আর ঐ দু'টি জান্নাত ছাড়াও আরো দু'টি জান্নাত রয়েছে। সুতরাং তোমাদের রবের কোন্ নিয়ামতকে তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে? জান্নাত দু'টি গাঢ় সবুজ সুতরাং তোমাদের রবের কোন্ নিয়ামতকে তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে?

জান্নাতে থাকবে হুরদের দেহের আকর্ষণ

সুতরাং তোমাদের রবের কোন্ নিয়ামতকে তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে? এ দু'টিতে থাকবে ফলমূল, খেজুর ও আনার। সুতরাং তোমাদের রবের কোন্ নিয়ামতকে তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে? সেই জান্নাতসমূহে থাকবে উত্তম চরিত্রবতী অনিন্দ্য সুন্দরীগণ। সুতরাং তোমাদের রবের কোন্ নিয়ামতকে তোমরা উভয়ে, অস্বীকার করবে?

হুরদের শারীরিক গঠনত

তাারা হুর, তাঁবুতে থাকবে সুরক্ষিতা। সুতরাং তোমাদের রবের কোন্ নিয়ামতকে তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে? যাদেরকে ইতঃপূর্বে স্পর্শ করেনি কোন মানুষ আর না কোন জ্বিন। সুতরাং তোমাদের রবের কোন্ নিয়ামতকে তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে?

হুরদের শারীরিক গঠন

তারা সবুজ বালিশে ও সুন্দর কারুকার্য খচিত গালিচার উপর হেলান দেয়া অবস্থায় থাকবে। সুতরাং তোমাদের রবের কোন্ নিয়ামতকে তোমরা উভয়ে অস্বীকার করবে? তোমার রবের নাম বরকতময়, যিনি মহামহিম ও মহানুভব। (সূরা রাহমান ৬২-৭৮)

আল্লাহর নির্দেশ পালনকারী জান্নাতে যাবে

মাসআলা-৫৫: জীবন ব্যাপী মনের হারাম কামনা থেকে নিজেকে সংরক্ষণ কারী এবং আল্লাহর নির্দেশ পালনকারী জান্নাতে যাবে:

মাসআলা-৫৬: জান্নাতে না বেশি গরম হবে না বেশি ঠাণ্ডা বরং নাতিশীতোষ্ণ সুন্দর আবহাওয়া থাকবে:

মাসআলা-৫৭: জান্নাতের খাদেম জান্নাতীগণকে চাঁদী ও স্ফটিক নির্মিত পান পাত্রে পানি পরিবেশন করবে:

জান্নাতের ফল

মাসআলা-৫৮: জান্নাতের ফলসমূহ এতো নাগালের মধ্যে থাকবে যে, জান্নাতী চাইলে তা দাড়িয়ে, শুয়ে, বসে, গ্রহণ করতে পারবে:

সালসাবিল কি জান্নাতের ঝর্ণা

মাসআলা-৫৯: সালসাবীল নামক জান্নাতের ঝর্ণা থেকে এমন মদ প্রবাহিত হবে যাতে আদার স্বাদ মিশ্রিত থাকবে:

মাসআলা-৬০: প্রত্যেক জান্নাতীর বাগানগুলো এক বিস্তীর্ণ সাম্রাজ্যের ন্যায় দৃশ্যমান হবে:

মাসআলা-৬১: জান্নাতীদেরকে চাঁদীর কংকর পরানো হবে:

ধৈর্য সম্পর্কে হাদিস

অর্থ: আর তারা যে ধৈর্যধারণ করেছিল তার পরিণামে তিনি তাদেরকে জান্নাত ও রেশমী বস্ত্রের পুরস্কার প্রদান করবেন। তারা সেখানে সুউচ্চ আসনে হেলান দিয়ে আসীন থাকবে। তারা সেখানে না দেখবে অতিশয় গরম, আর না অত্যধিক শীত। তাদের উপর সন্নিহিত থাকবে উদ্যানের ছায়া এবং তার ফলমূলের থোকাসমূহ তাদের সম্পূর্ণ আয়ত্তাধীন করা হবে।

সালসাবীল

তাদের চারপাশে আবর্তিত হবে রৌপ্যপাত্র ও স্ফটিক স্বচ্ছ পানপাত্র রূপার ন্যায় শুভ্র স্ফটিক পাত্র; যার পরিমাপ তারা নির্ধারণ করবে। সেখানে তাদেরকে পান করানো হবে পাত্রভরা আদা- মিশ্রিত সূরা, সেখানকার এক ঝর্ণা যার নাম হবে সালসাবীল।

রেশমের পোশাক

আর তুমি যখন দেখবে তুমি সেখানে দেখতে পাবে স্বাচ্ছন্দ্য ও বিরাট সাম্রাজ্য। তাদের উপর থাকবে সবুজ ও মিহি রেশমের পোশাক এবং মোটা রেশমের পোশাক, আর তাদেরকে পরিধান করানো হবে রূপার চুড়ি এবং তাদের রব তাদেরকে পান করাবেন পবিত্র পানীয়। (তাদেরকে বলা হবে) 'এটিই তোমাদের পুরস্কার; আর তোমাদের প্রচেষ্টা ছিল প্রশংসাযোগ্য।' (সূরা দাহার ৭৬:১২-২২)

পোস্ট ট্যাগঃ

জান্নাতুল মাওয়া নামের অর্থ কি
জান্নাতুল মাওয়া অর্থ কি
জান্নাতুল মাওয়া অর্থ
জান্নাতুল মাওয়া শব্দের অর্থ কি
জান্নাতুল মাওয়া কি
জান্নাতুল মাওয়া নামের ইসলামিক অর্থ কি
জান্নাতুল মাওয়া নামের ইংরেজি বানান
জান্নাতুল মাওয়া ইংরেজি
জান্নাতুল মাওয়া নাম রাখা যাবে কি

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url