নবীজির বিড়ালের নাম

নবীজির বিড়ালের নাম

নবীজির বিড়ালের নাম

নবিজী সাঃ এর প্রিয় বিড়ালের নাম ছিলো ’’মুয়েজ্জা’’। তিনি এই বিড়ালটিকে খুব আদর করতেন। বিড়ালটি খুব সুন্দর ছিলো। তিনি এই বিড়ালটিকে অনেক ভালোবাসতেন।

নবীজীর ব্যবহার

হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, “আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে যাচ্ছিলাম। তিনি তখন নাজরানে প্রস্তুত মোটা পাড় বিশিষ্ট চাদর গায়ে দিয়েছিলেন। পথে এক বেদুঈনের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়। বেদুইন নবীজীর চাদর ধরে এমন জোরে টান দেয়, যার ফলে নবীজীর ঘাড়ে দাগ পড়ে যায়। বেদুঈন নবীজীকে বলে, 'হে মোহাম্মদ, আমাকে বায়তুলমাল থেকে কিছু পাইয়ে দাও না।

(জোরে চাদর টানার ফলে তিনি অসন্তুষ্ট হননি, বরং) তিনি মুচকি হাসেন এবং তাকে বায়তুলমাল থেকে কিছু দেয়ার আদেশ দান করেন।” (তারগীব ও তারহীব, বোখারী)

শিশুদের প্রতি নবীজীর আদর ভালবাসা

হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, “একবার এক বেদুঈন রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকটে উপস্থিত হয়ে দেখতে পায় তিনি একটি শিশুকে আদর করে চুমু খাচ্ছেন। বেদুঈন বলল, 'আপনারা বাচ্চাদের এমন আদর করেন? আমরা কিন্তু এমনটি করি না।'

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, 'আল্লাহতায়ালা যদি তোমার হৃদয় থেকে ভালবাসা ও দয়া কেড়ে নেন তাহলে আমি কি করতে পারি?” (তারগীব তারহীব, বোখারী মুসলিম)

ছোটদের সঙ্গে তামাশা কৌতুক করা

হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, “নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুব সহজ সাধারণভাবে আমাদের সঙ্গে খোলামেলাভাবে মেলামেশা করতেন (নিজেকে বিশিষ্ট প্রমাণ করার জন্য আলাদা করে রাখতেন না)। এমনকি তিনি আমার ছোট ভাইকে, যার নাম উমায়ের ছিল, তার সাথে 

তামাশা করে বলতেন, 'হে উমায়ের, তোমার নুগায়ের কোথায়?' উমায়েরের একটি ছোট নুগায়ের অর্থাৎ পাখি ছিল। উমায়ের সেই পাখিটি নিয়ে খেলা করতো। সেই পাখিটি মারা গেলে নবীজী তাকে এ কথা বলেন।” (বোখারী ও মুসলিম)

শিশুরা সুগন্ধি ফুলের মতই প্রিয় পবিত্র

একবার নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এক শিশুকে আনা হয়। তিনি শিশুটিকে চুম্বন করে বললেন, 'এরা মানুষকে ভীরু আর কৃপণ বানিয়ে দেয়। আবার এরাই হলো আল্লাহর ফুল ও পুরস্কার।” (মেশকাত)

  • ব্যাখ্যাঃ এর অর্থ হলো, সন্তানের প্রতি মানুষের ভালবাসা স্বাভাবিক। কিন্তু এই ভালবাসা এমন হওয়া উচিত নয়, যাতে মানুষ সন্তানের জন্য অর্থ জমাতে গিয়ে আল্লাহর পথে খরচ করার ক্ষেত্রে কৃপণ হয়ে পড়ে। আবার এই ভালবাসা এমন হওয়াও উচিত নয়, যাতে সস্তানের টান ও মমতা তাকে দ্বীনের পথে এগিয়ে যেতে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। মূল হাদীসে ‘রায়হান' শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে, যার অর্থ হলো সুগন্ধি ফুল এবং আল্লাহর পুরস্কার। এখানে এই উভয় অর্থই গ্রহণ করা যেতে পারে। শিশুরা সুগন্ধি ফুলের মতই প্রিয় ও পবিত্র এবং তারা পিতা-মাতার জন্য আল্লাহর পুরস্কারও বটে।

নবীজীর খোশগল্প হাসি-তামাশার বৈশিষ্ট্য

হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, “লোকেরা বিশ্বয়ের সঙ্গে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করলেন, 'হে আল্লাহর রাসূল! আপনি আমাদের সঙ্গে হাসি-তামাশার কথাও বলেন?' তিনি বললেন, “হ্যাঁ, কিন্তু কোন অসত্য ও প্রকৃত ঘটনার বিপরীত কিছু বলি না।” (তিরমিযী)

  • ব্যাখ্যা: সাধারণত ধর্মীয় নেতাগণ আপন অনুগামীদের সভায় গম্ভীরভাবে বসে থাকেন। তাদের সঙ্গে খোশগল্প বা হাসি-তামাশার কোন কথা বলেন না। এ হাদীস বলে, হাসি-খুশীর কথা বলা পবিত্রতা ও বিজ্ঞতার পরিপন্থী নয়।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপন ঘর

হযরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে সে ব্যক্তি উত্তম যে নিজের স্ত্রীর কাছে উত্তম; আর আপন স্ত্রীর জন্যে তোমাদের মধ্যে আমিই সর্বোত্তম।” (ইবনে মাজাহ)

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দৈনন্দিন জীবন

হযরত আসওয়াদ ইবনে ইয়াযীদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, “আমি হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহুমাকে জিজ্ঞেস করি, 'যখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘরে উপস্থিত থাকতেন তখন কি করতেন?' তিনি বলেন, "নবিজী ঘরের কাজে সহযোগিতা করেন এবং নামাজের সময় মসজিদে গমন করতেন।” (বোখারী)

ট্যাগঃ

নবীজির বিড়ালের নাম
নবীজির বিড়ালের নাম কি
বিড়ালের বিভিন্ন নাম
nobijir biral er nam
নবীজির বিবির নাম
বিড়ালের ঝুড়ি
বিড়ালের ডাক নাম
নবীজির 99 টি নাম

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url